Kochi Blast Latest Update: টিফিন বক্সে লুকিয়ে রাখা IED থেকেই বিস্ফোরণ, কোচি কাণ্ডে বলল পুলিশ, বিজয়নকে ফোন শাহের

কেরলের কোচিতে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় সম্মেলনে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললে পুলিশ। কেরল পুলিশের ডিজি জানালেন, টিফিন বক্সে লুকিয়ে রাখা একটি আইইডি বিস্ফোরক থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোনে কথা বলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে। এনআইএ ও এনএসজি-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে পুলিশ এবং বম্ব স্কোয়াড ইতিমধ্যেই রয়েছে ঘটনাস্থলে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র চার সদস্যের একটি দলও রওনা দিয়েছে কালামাসেরির উদ্দেশে। (আরও পড়ুন: কেরলে খ্রিস্টানদের সম্মেলনে বিস্ফোরণ, দিল্লিতে গাজা নিয়ে প্রতিবাদী বিজয়ন-ইয়েচুরি)

এদিকে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে কেরলের ডিজিপি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জামরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরে একজন মারা যান এবং ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই সম্মেলন কেন্দ্রে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন হচ্ছিল। আমাদের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। আমাদের অতিরিক্ত ডিজিপিও আসছেন। আমিও খুব শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাব। আমরা গভীরে গিয়ে সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখে তদন্ত করছি। এর পিছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানা গিয়েছে, কম শক্তিশালী একটি টাইমার ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছিল বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য।

এদিকে এই বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। তাঁর কথায়, ‘আমরা ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। এর্নাকুলামে সব শীর্ষ আধিকারিক রয়েছেন। ডিজিপি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। আমরা এটাকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমি ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানতে হবে।’

এদিকে এই বিস্ফোরণের ভিডিয়ো এবং ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শার্ট পরিহিত অনেকেই মাথার ওপর হাত উঁচিয়ে হাহাকার করছেন এবং দূরে আগুন জ্বলছে। এদিকে একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একজন মহিলা ভষ্মীভূত দেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। আগুন নেভানোর জন্য সেখানে প্রচুর পরিমাণ জল ঢালা হয়েছিল। সেই জলেই ভাসছে একটি মোবাইল।

এদিকে গতকাল কেরলের মালাপ্পুরমে অনুষ্ঠিত প্যালেস্তাইনের সমর্থনে হওয়া মিছিলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেছিল হামাসের প্রাক্তন প্রধান খালেদ মাশাল। আরবি ভাষায় ভাষণও দেয় হামাস নেতা। কেরলে জামাত-ইসলামির যুব শাখা সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্টের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে কেরলের রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে আগে থেকেই। আর এরই মধ্যে খ্রিষ্ঠানদের এই ধর্মীয় সম্মেলনে নাশকতার ঘটনায় আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে সেই রাজ্যের রাজনৈতিক আবহাওয়া।