Upper primary counseling: উচ্চ প্রাথমিকের প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র এখনই নয়, দেওয়া হবে সম্মতিপত্র

দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং। সেক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল কাউন্সেলিং হলেও এখনই সুপারিশপত্র দেওয়া হবে না প্রার্থীদের। সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। যেহেতু এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে তাই প্রার্থীদের সুপারিশ পত্র বা রেকমেন্ডেশন লেটারের পরিবর্তে দেওয়া হবে আপাতত সম্মতিপত্র বা অ্যাক্সেপটেন্স লেটার। সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী দিনে প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেওয়ার সবুজ সংকেত দিলে তবেই তাদের সুপারিশপত্র দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ উচ্চ প্রাথমিকে কবে কোন প্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে? নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানাল কমিশন

উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্যপদ রয়েছে ১৪৩৩৯ টি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর ইতিমধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কাউন্সেলিং এবং তা চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী দিনে প্রার্থীদের কল লেটার ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ৫০০ জনের বেশি প্রার্থীর কাউন্সেলিং হবে। এই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় মেধা তালিকায় থাকা চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো স্কুল বেছে নিতে পারবেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সম্মতিপত্র দেওয়া হবে তাতে প্রার্থী এবং এসএসসির আধিকারিকের স্বাক্ষর থাকবে।

 স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট সুপারিশপত্র দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিলে  তখন প্রার্থীদের সেটি দেওয়া হবে।  সুপারিশপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ভুল ভ্রান্তি না হয় তার জন্য  প্রার্থীদের এই সম্মতি পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোন প্রার্থী কোন স্কুল বাছাই করবেন তার প্রমাণ হিসেবেই সম্মতি পত্র দেওয়া হবে। 

জানা গিয়েছে সম্মতিপত্রের একটি প্রতিলিপি থাকবে প্রার্থীর কাছে এবং অন্য প্রতি থাকবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। তাতে প্রার্থী কোন স্কুল বেছে নিয়েছেন তা উল্লেখ করা থাকবে। এর ফলে প্রার্থী এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন উভয়ের সুবিধা হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, এর আগে মেধা তালিকা তৈরি হলেও সেক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মেধা তালিকা বাতিল করা হয়। পরে আবার ইন্টারভিউ নিয়ে নতুন করে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।