Vande Bharat: বন্দে ভারতের ধাক্কায় মৃত্যু মা ও দুই মেয়ের, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন বাবা

রবিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনা বন্দে ভারতে। উত্তরপ্রদেশের মীরাটে বন্দে ভারতের ধাক্কায় মৃত্যু হল মা ও তাঁর দুই মেয়ের। প্রহরীযুক্ত লেবেল ক্রসিং পার হচ্ছিলেন মা ও দুই মেয়ে। কিন্তু এভাবে এত দ্রুতগতিতে বন্দেভারত চলে আসবে এটা হয়তো আঁচ করতে পারেননি তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, কসমপুর লেবেল ক্রশিংটি বন্ধ করা ছিল। সেই সময় ট্রেনটি চলে আসে। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মোনা(৪০), ও তাদের মেয়ে মণীষা(১৪) ও চারু(৭)। তারা বাবার সঙ্গে একটা হাতে টানা গাড়িতে চেপে যাচ্ছিল। এদিকে তারা দেখেন গেট ফেলা আছে। কিন্তু তারপর তাদের ধৈর্য্য ধরেনি। এরপর বাবা ওই কাঠের গাড়িটি নিয়ে লেবেল ক্রশিংয়ের গেটের নীচে দিয়ে পার হয়ে যান। এরপর তারা কিছু না বুঝেই লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে তারা কিছুটা এগোতেই সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত চোখের নিমেষে চলে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। ছিটকে পড়েন তিনজন। বাবা নরেশ কোনওরকমে বেঁচে যান। আসলে ওই কাঠের গাড়িটির পেছনের দিকে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। বাবা কোনওরকমে বেঁচে গেলেও মা ও দুই মেয়ের মৃত্যু হয়।

অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লেবেল ক্রশিং পেরিয়ে রেললাইনে না যাওয়ার ব্যাপারে বার বার সতর্ক করা হয়। তারপরেও সতর্ক হননা অনেকে। অল্প একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে গোটা পরিবারটা কার্যত শেষ হয়ে গেল।

এদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়ারও একাধিক ঘটনা হয়েছে। সম্প্রতি ইন্দোর-নাগপুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ। তাতে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে কিছু কৃষক পাথর ছুড়েছিলেন। তবে সেটা ভুলবশত ছিল। মোষ তাড়ানোর জন্য তাঁরা পাথর ছুড়েছিলেন। সেই পাথরের আঘাতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কাঁচ ফেটে যায়। তবে কৃষকদের শনাক্ত করতে পারেনি আরপিএফ। চিন্তামন স্টেশন এবং উজ্জয়নের মধ্যে টানা দু’দিন এই পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তবে এবার বন্দে ভারতের চাকায় কাটা পড়লেন তিনজন।