ছাগলের ব্যবসার আড়ালে বড়সড় মাদকের চক্র, গাইঘাটার দম্পতির কীর্তিতে চাঞ্চল্য

সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় হানা দিয়ে একটি মাদক তৈরির কারখানার হদিশ পেয়েছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সেখান থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যার মধ্যে দুজন মহিলা। তাদেরকে গ্রেফতারের পর ১৬ কোটি টাকার মাদক এবং মাদক তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। এখন মাদক তৈরির কাঁচামাল কারা সরবরাহ করত? তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। আরও পড়ুনঃ বাংলার সীমান্তে গাঁজা পাচার!সংসদে হিসেব পেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, চমকে দেওয়া তথ্য

গাইঘাটার বিষ্ণুপুর গ্রামে তৈরি হওয়া মাদক কীভাবে কলকাতা ও শহরতলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হত? সেবিষয়ে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানা থেকে তৈরি হওয়া মাদক চলে যেত বিধাননগরে। সেখান থেকেই তা পৌঁছে যেত কলকাতা সহ দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন এলাকায়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নাওভাঙার বাসিন্দা এক দম্পতি ছাগলের ব্যবসার আড়ালে মাদক কারখানা থেকে মাদক নিয়ে যেত এবং তারা সেখানে পুড়িয়া তৈরি করে এজেন্টের মাধ্যমে কলকাতায় ছড়িয়ে দিত।

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, নাওভাঙার ৫ তলার ফ্ল্যাট জুড়ে মাদকের কারবার চালাতো ওই দম্পতি। তারা প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার মাদক বিষ্ণুপুরের কারখানা থেকে নিয়ে আসত। উল্লেখ্য, ওই দম্পতিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাদের নাম হল মোবিন খান এবং মেহতাব বেগম। গত মার্চে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনও পর্যন্ত ২২ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। তাদের সূত্র ধরে বিষ্ণুপুরের ওই হেরোইন কারখানার সন্ধান মেলে। তবে যারা মাদক তৈরি করেছে তাদের গ্রেফতার করা গেলেও মাদক তৈরির কাঁচামাল সরবরাহকারীদের খোঁজ এখনও পায়নি এসটিএফ। তাদের গ্রেফতার করা গেলে বড় সাফল্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করার পর শুধুমাত্র মাদক কারখানাটির হদিস পাওয়া যায়নি। আরও প্রচুর হেরোইন উদ্ধার করেছে এসটিএফ। এর আগে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেছিল এসটিএফ। সেক্ষেত্রে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়া দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ডানকুনির কাছ থেকেও কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছিল এসটিএফ। সেক্ষেত্রে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর পরেই উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় ২ কোটি টাকার মাদকসহ ধরা পড়ে পাচারকারী। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গাইঘাটা থেকে ধৃত দুই মহিলার মধ্যে একজনের নাম হল কাঁকলি রায়। তাকে জেরা করে কাঁচামাল সরবরাহকারীদের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।