দ্রুত তথ্য কমিশনের শূন্যপদে নিয়োগ করুন, কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, সোমবার কেন্দ্র–রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট যে, দ্রুত কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন এবং রাজ্য তথ্য কমিশনে থাকা শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। এই নিয়োগ করার জন্য পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। আর তা যদি না হয় তাহলে ২০০৫ সালে গৃহীত তথ্য জানার অধিকার আইন মৃত চিঠি হিসাবে গণ্য হবে। এখন বহু রাজ্যে তথ্য কমিশনে নানা শূন্যপদ রয়েছে। আবার কেন্দ্রীয় সরকারও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। যার জন্য শূন্যপদে নিয়োগ হচ্ছে না।

এদিকে এই নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাড়িওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, অবিলম্বে সব রাজ্যে খোঁজ নিতে হবে, রাজ্য তথ্য কমিশনে কত অনুমোদিত ক্ষমতা রয়েছে, শূন্যপদ কত এবং কত মামলা পড়ে রয়েছে। এই মামলাটি করেন আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট অঞ্জলি ভরদ্বাজ। আর মামলাটি নিয়ে সওয়াল করেন শীর্ষ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

অন্যদিকে এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‌২০০৫ সালের তথ্য জানার অধিকার আইন মৃত চিঠিতে পরিণত হবে।’‌ এমনকী ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা এবং তেলঙ্গানা রাজ্যে তথ্য কমিশনার পদ অবলুপ্ত হয়ে যাবে এভাবে চলতে থাকলে বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দীর্ঘ শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ আদালতে। আর জানান, এভাবেই আদালতের রায় পরাজিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে সাতটি পদ এখনও শূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। এমনকী কোনও কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার নেই বলে দাবি করেন শীর্ষ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

আরও পড়ুন:‌ খাদ্য দফতরের কাজে খুশি কেন্দ্রীয় সরকার, রেশন দুর্নীতির মধ্যেই প্রকাশ্যে এল চিঠি

এছাড়া আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট অঞ্জলি ভরদ্বাজ ২০১৯ সালে নিম্ন আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্র–রাজ্য কেউই নির্দিষ্ট সময়ে সিআইসি এবং এসআইসি নিয়োগ করে না। তবে এদিন সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, ‘‌আমরা সব রাজ্যকে নির্দেশ দিচ্ছি এসআইসি পদ পূরণ করতে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করুন।’‌ কেন্দ্রকেও এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন দেখার এই বিষয়ে কতদূর পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার।