নেতাকর্মীদের এমন স্পিরিট অব্যাহত থাকলে আ.লীগের বিজয় নিশ্চিত: ওবায়দুল কাদের

গত কয়েকদিনে নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল, সেটা অব্যাহত থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত। টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ।’

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথসভা করে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিবিহীন নির্বাচন করবো, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এলো আর এলো না তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায়, তারা কখনও এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না।’

পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে বলছে, তারা সমাবেশে করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে। বিএনপি তো নাশকতা করে কিন্তু আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে না, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে।’

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করে টিকে থাকার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ ৩০ অক্টোবর আমরা আছি। বিএনপি বলেছিল, তারা এদিন নতুন সরকার গঠন করবে। বিএনপির বেঁধে দেওয়া ২৮ ও ২৯ অক্টোবর গেলো, আমরা কিন্তু আছি। ফখরুল সাহেব ছাড়া বিএনপির সকল নেতা পালিয়ে আছে। তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।’

বিএনপির অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে বলছে, এ দল ভুয়া। তাই তাদের নেতাকর্মীরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা বলছে তারেক রহমান ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে দলে ছাড়ার কথা বলছে। বিএনপির সব কিছু ভুয়া।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে, এটা দেখুন। কত ভয়ংকর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। গাজায় যা হচ্ছে তার চেয়ে ভয়ংকর। বিএনপি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, কিন্তু এটা কেন? সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি ক্ষেপলো কেন। সাংবাদিক যা দেখে তা লেখে। যারাই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ লেখে, তারাই বিএনপির চোখে অপরাধী।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কেউ ধৈর্য হারাবেন না। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সবাই শান্তভাবে ছিল। ২৮ তারিখে রাত ১০টার পরে মাঠে ছিলেন। সেদিন আমরা বিজয়ীর মতো পরিবেশেই ছিলাম। সামনে নির্বাচন, আমরা বিজয়ের দিকে যাচ্ছি। যেকোনও মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারে না। যারাই দলের মনোনয়ন চাইবে তাদের সকলের আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। তিনি মনোনয়ন দেবেন।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।