বাঁকুড়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেয়ে অসুস্থ ১২ শিশু

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১২ জন শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বাঁদরডিহা গ্রামের অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। অসুস্থ শিশুদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খাওয়ার পরে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে পচা ও ছোট ডিম! অভিযোগে কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। তা খাওয়ার পরেই একে একে এলাকার শিশুদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর ১২ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিভাবকরা দ্রুত শিশুদের ভর্তি করেন স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই চলে তাদের চিকিৎসা। স্থানীয়দের অনুমান, অঙ্গনওয়াড়ি খিচুড়িতে টিকটিকি পড়েছিল। তা থেকেই খাবারে বিষক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে স্থানীয়রা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ হন। স্থানীয় আইসিডিএস আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বাঁদরডিহা গ্রামের অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খাবারের উপর নির্ভরশীল আশেপাশের এলাকার শিশু, মহিলারা। কিন্তু, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খাওয়ার পর শিশুরা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। ১২ জন শিশুকে ভর্তি করা হয় সরবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এদের সকলের বয়স ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে।বর্তমানে শিশুদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় আইসিডিএস প্রকল্পের আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিশুদের অভিভাবকরা।

প্রসঙ্গত, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। তাছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার কখনও টিকটিকি কখনও আরশোলা বা পোকা পাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। রাজ্যের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের টিকটিকি বা পোকামাকড় পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিনের ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।