শেখ হাসিনা বিরোধী প্রতিবাদে বাংলাদেশে আটক BNP–র মহাসচিব, ৩ দিন অবরোধের ডাক দলের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার দেশে ফেরার পরেই বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিএনপি কর্মী সমর্থকরা। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দেশটিতে দুদিন ধরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। তার জেরে শনিবার মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। অন্যদিকে, রবিবার আরও ৩ নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই বিক্ষোভের ঘটনায় বিএনপি’র প্রথম সারির এক নেতাকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশের পুলিশ। 

আরও পড়ুন: হাসিনা বিরোধী মিছিলে উত্তপ্ত ঢাকা, হিংসার বলি এক পুলিশকর্মী ও এক বিক্ষোভকারী

জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁর বাসভবন থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। এদিন বিএনপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। একাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি হিংসার ঘটনা ঘটে। তাতে ৩ নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবারও, বিএনপির সমাবেশে হিংসার ঘটনা ঘটে। একজন পুলিশ কর্মী নিহত ছাড়াও আরও অনেকে আহত হয়েছিলেন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ঘটনায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, শনিবারের হিংসার ঘটনার জন্য ১ হাজার ৩০০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, আগামী বছর বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে।

তার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করছে বিরোধী দল বিএনপি। এদিকে, ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে প্রধানত সড়ক ও গণপরিবহণ তিনদিনের অবরোধের ডাক দিয়েছে তারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দেশের হিংসার ঘটনার জন্য খালেদা জিয়ার দলের নেতাদের দায়ী করেছেন।  জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে দেশে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে হাসিনা ও জিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। টানা তিন বার ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন শেখ হাসিনা। এই অবস্থায় নির্বাচনের আগে দেশটির রাজনীতি ক্রমেই উতপ্ত হয়ে উঠছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, হাসিনার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। তাই তারা চাইছেন নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হোক।