Andhra Rail Accident Latest Update: অন্ধ্র রেল দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা, মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

অন্ধ্রপ্রদেশের রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল রাতে। গতরাত পর্যন্ত সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬। পরে রাতে আরও কয়েকজন যাত্রীর মৃত্যু হল। এর জেরে এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। এদিকে আহত যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০-এ। এদিকে গতকাল গভীর রাতে মৃতের পরিবার এবং আহত যাত্রীদের জন্য মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রেলমন্ত্রী জানান, মৃত যাত্রীদের নিকট আত্মীয়দের ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এদিকে গুরুতর আহত যাত্রীদের আড়াই লাখ এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। (আরও পড়ুন: প্রাণ গেল ১২ বছর বয়সি এক শিশুরও, কোচি বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত বেড়ে ৩)

জানা গিয়েছে, গতকাল ০৮৫৩২ বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল ০৮৫০৪ বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানাগ্রাম জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আলামান্দা এবং কণ্টকপল্লির মাঝে ট্র্যাকে দাঁড়িয়ে ছিল বিশাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। সেই ট্রেনটিকে এসে ধাক্কা মারে বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার। এর জেরে লাইনচ্যুত হয় বেশ কয়েকটি কামরা। দু’টি ট্রেনেই ১৪টি করে কামরা ছিল বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে। পরে গভীর রাতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, ভিাখাপত্তনম-পালাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ১১টি কামরা নিয়ে পরবর্তী আলামান্দা স্টেশনে পৌঁছায়। এবং বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি ৯টি কামরা সমেত পিছন দিকে গিয়ে কণ্টকপল্লি স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়। তবে লাইনচ্যুত কামরাগুলি সকালেও দুর্ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল।

অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির সঙ্গে তাঁর এই বিষয়ে কথা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর তিনি নজর রাখছেন। তিনি এও জানান, আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অন্ধ্র সরকার এবং রেল আধিকারিকরা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছিল গতরাতেই। তবে দুর্ঘটনার জেরে সেই এাকার বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা তৈরি হয় বলে জানা যায়।

এদিকে গত জুন মাসে বালেশ্বরে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা হয়েছিল। বালাসোরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে একটি মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। কয়েকটি বগি ডাউন লাইনে ছিটকে পড়েছিল। সেইসময় ওই ডাউন লাইন দিয়ে আসছিল হাওড়াগামী এক্সপ্রেস ট্রেন। করমণ্ডলের বগিতে ধাক্কা খেয়ে ওই ট্রেনেরও একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৩০০ যাত্রী। এদিকে চলতি অক্টোবরেই বিহারে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল নর্থইস্ট এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। এই আবহে পরপর রেল দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় এই নিয়ে মমতা লিখেছেন, ফের সেই একই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল। ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, দ্রুত উদ্ধারকাজ করা হোক। এর সঙ্গেই তদন্ত করে দেখা হোক। রেলের কবে ঘুম ভাঙবে?