Harkali Pratihar joined TMC: কেন হরকালী তৃণমূল যোগ দিলেন? বিভিন্ন দাবি বিজেপির অন্দরে

কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। যে দিন সন্ধ্যায় তিনি ঘাস ফুলে যোগ দেন সেই দিনই রাতে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে ইডি। হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ৭৫ থেকে ৬৭-তে এসে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে দলের বিধায়ক শাসকদলে চলে যাওয়ায় কতটা ক্ষতি হল গেরুয়া শিবিরের?

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি এক মাস আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হরকালী প্রতিহার। পুরনো ছবি দিয়ে বাজিমাত করার চেষ্টা তৃণমূলের। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, ‘ভাইপোকে বলব আপনার পিতৃপরিচয় যদি ঠিক থাকে তবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে একজনকে দলবদল করান। হাতে পতাকা তুলে দিন। সেই সাহস নেই। এই সব করে বিজেপিকে দূর্বল করা যাবে না।’

তৃণমূল অবশ্য এই দাবিকে হাস্যকর বলেছে। তাদের মতে, শুভেন্দুর দাবি অনুযায়ী একমাস আগে যোগ দিন বা বৃহস্পতিবার, তাতে তাতে কী যায় আসে। এক তৃণমূল নেতার কথা, ‘বিধায়ক যোগ দেওয়াতেই দিশাহারা হয়ে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাই এ সব দিশাহীন কথাবার্তা বলছেন।’

তবে কোতুলপুরের বিধায়কের এই দলবদলে লোকসভা ভোটে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন,’লোকসভা ভোট আসল নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা অমিত শাহ এসে আমাদের লক্ষ্য মাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। গণনার দিন সন্ধ্যায় কথা হবে।’

 হরকালী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এতে দলের কিছু যাবে আসবে না। রাজনীতিতে সবার কাছে সব কিছু স্থায়ী হয় না। আসা-যাওয়া থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে, প্রলোভন না কি ভয় দেখানো, সেটা দেখতে হবে।’ 

এই দলবদলকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ বিজেপি সাংসাদ দিলীপ ঘোষ।দিলীপ ঘোষ মনে করেন এই দলবদলের পিছনে সাংগঠনিক দূর্বলতা কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন,’বিধায়ক দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন আর সাংসদ বলছেন আপদ গিয়েছে। এই ভাবে হয় নাকি, কেন দল ছাড়ছেন খোঁজ নিতে হবে না। কথা বলতে হবে না?’ তবে বিজেপি সাংসদের দাবি তাঁর কাছে আগে থেকেই খবর ছিল হরকালী অনেক দিন ধরে দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না। দূরত্ব বজায় রাখতেন। তৃণমূলকে ভয় পেয়ে চলতেন।

স্থানীয় ভাবে হরকালী প্রতিহারকে সংবর্ধনা দিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তিনি বলেন,’ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে চলা নেতাদের দলে ঠাঁই নেই। এমন লোকদের চলে যাওয়াটাই দলের স্বাস্থের পক্ষে মঙ্গল।’

হরকালী অবশ্য দলবদলের কারণ হিসাবে সেই ‘শ্বাসবন্ধ’ হয়ে যাওয়ার যুক্তি দিয়েছেন।