Maulana Tariq Jamil’s son dies in Pakistan: ধর্মপ্রচারক মওলানা তারিক জামিলের পুত্রের মৃত্যু পাকিস্তানে, কারণ ঘিরে রহস্য

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে মৃত্যু হল পাকিস্তানের জনপ্রিয় ধর্মপ্রচারক মওলানা তারিক জামিলের পুত্র অসীম জামিলের। পুত্রের মৃত্যুর কারণ ‘দুর্ঘটনা’ বলে জানিয়েছেন মওলানা তারিক জামিল। তবে অসীমের মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে পাক পঞ্জাবের মিঞাঁ চানুর ডেপুটি পুলিশ সুপার মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারিক পুত্রকে স্থানীয় তম্বালা গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁর দেহ মওলানার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মৃত্যুর করণ সম্পর্কে ডিএসপি কিছু বলেননি। (আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে জখমদের দেখতে কোচিতে বাংলার রাজ্যপাল বোস, রাহুল গান্ধীকে তোপ BJP-র)

এদিকে পঞ্জাব পুলিশের আইজি উসমান আনওয়ার এই ঘটনায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, মুলতান এলাকার পুলিশের থেকে এই মৃত্যুর বিশদ রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ফরেন্সিক তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখেই মৃত্যুর আসল কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।’ আইজি আরও জানান, খানেওয়াল জেলার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এদিকে তারিক জামিলের পুত্রের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পরভেজ আশরাফ, তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শরপরাজ বুগটি এবং পিএমএল-এন সভাপতি তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

এদিকে বিগত কয়েকদিনে পাকিস্তানে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে খুন হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নেতা। কয়েকদিন আগেই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-জব্বরের প্রতিষ্ঠাতা দাউদ মালিকও মারা যায় পাকিস্তানে। পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মিরালি এলাকায়। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অন্য কেউ হতাহত হয়নি। দাউদ মালিককে মারতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, এই দাউদ মালিক পাক জঙ্গি মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এদিকে পারিস্তানি মিডিয়ার চোখে মৃত দাউদ হল এক ‘আদিবাসী নেতা’।

গত ১৯ মাসে ১৭ জন ভারত বিরোধী সন্ত্রাসীর প্রাণ গিয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে। এর আগে চলতি মাসের গোড়াতেই পাকিস্তানের মাটিতে খুন হয়েছিল জঙ্গি মুফতি কায়সার ফারুক। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড তথা লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম প্রধান নেতা হাফিজ সৈইদ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল সে। ফারুক হত্যাকাণ্ডের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাদ্রাসায় বাইকে করে এসে ফারুককে খুন করেছিল বন্দুকবাজরা। এদিকে গত ১১ অক্টোবর পাকিস্তানের শিয়ালকোটে অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল জঙ্গি নেতা শহিদ লতিফের। এই লতিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালে পাঠানকোটে ভারতীয় বিমাবাহিনীক ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল সে। এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় ছিল লতিফ। তবে পাকিস্তানে আরামেই দিন কাটছিল তার। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর করাচিতে খুন হয়েছিল লস্কর জঙ্গি নেতা মৌলানা জিয়াউর রহমান।