Qatar Death Sentence to Indians: কাতারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনা ৮ ভারতীয়র পরিবারের সাথে দেখা করলেন জয়শংকর, কী বললেন তিনি?

কাতারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনা ৮ ভারতীয়র পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কর্মীদের পরিবারকে তিনি আশ্বস্ত করলেন যে কাতারের জেল থেকে সেই আট জনকে ছাড়াতে সরকার সবকিছু করবে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন জয়শংকর। সেখানে তিনি লেখেন, ‘কাতারে আটক ৮ ভারতীয়র পরিবারের সাথে দেখা করলাম আজ সকালে। এই মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। পরিবারের উদ্বেগ এবং বেদনা সরকার বুঝতে পারছে। তাদের মুক্তির জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে ৮ জনেরই পরিবারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় জারি রাখবে সরকার।’ (আরও পড়ুন: ধর্মপ্রচারক মওলানা তারিক জামিলের পুত্রের মৃত্যু পাকিস্তানে, কারণ ঘিরে রহস্য)

উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর ভারতীয় নৌসেনার ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল কাতারের এক আদালত। এই ঘটনার পরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, এই রায়ে তারা হতবাক। এই আবহে এই ৮ ভারতীয়কে কাতার থেকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারতের তরফে চেষ্টাও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দেশের রাজনীতিক নেতারা সরকারের কাছে আবেদন করে চলেছেন, যেভাবেই হোক এই ৮ ভারতীয়কে যেন দেশে ফেরানো হয়। আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, শশী থারুর, মণীশ তিওয়ারি, জয়রাম রমেশ, অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা সরব হয়েছেন এই ইস্যুতে।

এই সবের মঝেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক নীরবে এই ৮ ভারতীয়কে কাতারের জেল থেকে দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কূটনৈতিক চ্যানেলে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে কি না, সেদিকে নজর দিয়েছে ভারত। এদিকে আইনি দিক দিয়েও এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এদিকে ২০১৫ সালে ভারত ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও নাগরিক যদি কাতারে গ্রেফতার হয় বা কাতারের নাগরিক ভারতে গ্রেফতার হয়, তাহলে নিজেদের দেশে সেই ধৃতকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সাজার বাকি কাল নিজের দেশের জেলেই কাটাবে সেই অপরাধী। এদিকে এই চুক্তি অনুযায়ী ৮ ভারতীয়কে ফেরানো না গেলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছে ভারত। এর আগে কূলভূষণ যাদবের ক্ষেত্রেও এমনটাই করেছিল ভারত।

এদিকে যে ‘দাহরা গ্লোবাল’ সংস্থার হয়ে এই ৮ ভারতীয় কাজ করতেন, সেই সংস্থার মালিকের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়াই আসেনি এই সাজাদানের পর। উল্লেখ্য, এই সংস্থার মালিক নিজেও এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিজে ওমানের বিমান বাহিনীর প্রাক্তন কর্তা ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাটি কাতারের নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কাতারের নৌবাহিনীতে ইতালিতে তৈরি ডুবোজাহাজের অন্তর্ভুক্তির দিকটিও দেখছিল এই সংস্থা।