Ration Scam: ১২টি ভুয়ো কোম্পানি ও ২৪টি মোবাইল ফোনেই লুকিয়ে রেশন দুর্নীতির রহস্য, বলছে ED

৬ নয়, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে ১২টি ভুয়ো সংস্থা খোলেন বাকিবুর ও জ্যোতিপ্রিয়। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্থা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ইডি। সঙ্গে ধৃত মন্ত্রী, তার আপ্ত সহায়কদের কাছ থেকে মোট ২৪টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তার মধ্যে রেশন দুর্নীতির যাবতীয় তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

রেশন দুর্নীতির নকসা আবিষ্কারে ইডির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই ভুয়ো কোম্পানি ও মোবাইল ফোনগুলি। ইতিমধ্যে বাকিবুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের চ্যাট থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন ২ দফায় জ্যোতিপ্রিয়কে ৮০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন বাকিবুর। এমনকী বাকিবুর যে জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের বিদেশ সফরের টিকিট কেটে দিতেন তাও মোবাইল ফোনের চ্যাট থেকেই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

ইডির অনুমান, এই মোবাইল ফোনগুলির চ্যাট হিস্ট্রি ভালো ভাবে খতিয়ে দেখলে রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। তার সঙ্গে যে ১২টি সংস্থা বাকিবুর নামে – বেনামে খুলেছিলেন সেগুলির লেনদেনের ওপরেও নজর রয়েছে ইডির। কী ভাবে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, কোথায় কোথায় তা বিনিয়োগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় বাকিবুরের সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজারহাট, পার্ক স্ট্রিটের মতো জায়গা। চিনার পার্কে রয়েছে বাকিবুরের হোটেল, বার ও রেস্তোরাঁ। এছাড়া এখনো পর্যন্ত তাঁর নামে ১৬০০ কাঠার বেশি জমির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি সব মিলিয়ে বাকিবুরের সম্পত্তির পরিমাণ কিছু কম নয়।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির পরিমাণও কিছু কম নয়। ভুয়ো সংস্থা থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া ওই সংস্থাগুলিতে ৮ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। তার ওপরে বিধাননগর ও শান্তিনিকেতনের বাড়ি মিলিয়ে দাম আরও বেশ কয়েক কোটি টাকা। সঙ্গে মন্তেশ্বরে তাঁর পৈত্রিক বাড়ি।