Sikkim desaster: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিকিম, পুনরায় চালু হল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা

গত ৪ অক্টোবর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছিল সিকিমে। তাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, ঘরবাড়ি  হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। রাজ্যের বহু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা রয়েছে। সেই ক্ষত কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিকিম। যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় সচল করার চেষ্টা করছে সিকিম সরকার। সেনা বাহিনী যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার জন্য সেতু পুনর্নির্মাণ করছে। বিপর্যয়ের পরেই সিকিম ও বাংলার লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ  হয়ে গিয়েছিল। সেই সড়ক  কিছুদিন আগেই পুনরায় চালু হয়েছে। আজ সোমবার সিকিমের আরও একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খুলে দেওয়া হল।

আরও পড়ুন: সিকিমে ভেঙে পড়া ব্রিজ ১৮ দিনে গড়ে ফেলল সেনা, তিস্তার দুই পাড় ফের সংযুক্ত

গ্যাংটকের সঙ্গে নামচি জেলার সংযোগকারী সেতু পুনর্নির্মাণ করে তিস্তা স্টেজ ৬ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের  বাঁধের ডেক খুলে দেওয়া হল। এ বিষয়ে নামচির  জেলাশাসক এম ভরনি কুমার জানান, গত ৪ অক্টোবরের হড়পা বানের কারণে সিরওয়ানিতে অবস্থিত এলডি কাজী সেতুটি ভেসে গিয়েছিল। এই সেতু ভেসে যাওয়ার পরে দক্ষিণের জেলার সঙ্গে পূর্ব জেলাগুলির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তিনি জানান, দুটি জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজ গত ৪ অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই কাজ সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে ২৫ দিন। ২৯ অক্টোবর নামচি জেলা প্রশাসন ডেক স্ল্যাব বরাবর ট্রায়াল রান করে। এরপর এটি জনসাধারণের জন্য মুক্ত করে দেওয়া হল। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল করতে পারবে না। হালকা গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সরকারের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীও বন্যা বিধ্বস্ত রাজ্যে রাস্তাগুলি পুনরুদ্ধার করতে বেশ কয়েকটি বেইলি ব্রিজ সাহায্য করেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল উত্তর সিকিম। সেখানে রাস্তা পুনরুদ্ধার করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করেছে সেনাবাহিনী। 

উত্তর সিকিমের মঙ্গন থেকে সাকলাংয়ের মধ্যে যোগাযোগ পুনরায় চালু করার জন্য তিস্তা নদীর উপর দ্বিতীয় সেতুটি নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগে সম্পন্ন হয়েছিল। উল্লেখ্য, বানভাসী চার জেলায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করেছিল সিকিমের শিক্ষা দফতর। তবে ধীরে ধীরে খুলেছে স্কুল কলেজ। এবার যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু হলে সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে সিকিম।