Singur Tata Factory: সিঙুরের ক্ষতিপূরণ, আদালতের রায়ে টাটাদের প্রায় ৭৬৬ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্যকে

টাটার জমি ফেরত দিয়েছিলেন বুলডোজার দিয়ে কারখানা গুঁড়িয়ে। এবার সেই কারখানা উচ্ছেদের জন্য মমতার সরকারকে মোটা জরিমানা করল আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সিঙুরের কারখানা উচ্ছেদের জন্য টাটাকে প্রায় ৭৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। সোমবার সন্ধ্যায় স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া তথ্যে একথা জানিয়েছে টাটা মোটরস। সঙ্গে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে WBIDCকে।

সিঙুর থেকে কারখানা উচ্ছেদের জন্য চুক্তি অনুসারে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য বলে দাবি করে ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল টাটা মোটরস। সেই মামলার রায়ে সোমবার WBIDCকে ৭৬৫ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিপূরণ ও ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ওই টাকার ওপর বছরে ১১ শতাংশ হারে সুদ। এছাড়াও মামলার খরচ বাবদ টাটা মোটরসকে ১ কোটি টাকা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। ক্ষতিপূরণ দিতে দেরি হলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত সুদ যোগ হতে থাকবে। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালে সিঙুর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় টাটারা। ততদিনে সিঙুরের কারখানায় তাদের প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় এলেই সিঙুরের জমি ফেরত দেবেন, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসেই সিঙুরের জমি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে মমতার সরকার। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে জমি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। রাজ্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় টাটারা। সেখানে তাদের হার হয়। জমি চাষিদের ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৬ সালে ৩১ অগাস্ট সেই নির্দেশের পর বুলডোজার দিয়ে টাটার কারখানার কাঠামো ভেঙে চাষিদের জমি ফিরিয়ে দেয় সরকার। তবে সেই জমি আজও চাষযোগ্য হয়নি। অধিকাংশ জমি পড়ে রয়েছে পতিত অবস্থায়। কিছু জায়গায় ভেড়ি বানিয়ে মৎসচাষের উদ্যোগ নিয়ে রাজ্য।

এদিন ট্রাইব্যুনালের রায় রাজ্য সরকার মেনে নেবে না তাকে চ্যালেঞ্জ করে তারা উচ্চ আদালতে যাবে সেব্যাপারে মমতার সরকারের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।