৭ মাসেই পুরো বছরের মদ বিক্রির ‘টার্গেট’ পূরণ রাজ্যের, হতে পারে ২০,০০০ কোটি টাকা

করোনা পর্বের পর থেকেই উৎসবের মরশুমগুলিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রাজ্য সরকারের। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই আয়ের লক্ষ্যপূরণ করতে সফল হয়েছে রাজ্যের আবগারি দফতর। আবগারি দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত সাত মাসে আবগারি দফতরের আয় হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবর্ষে আবগারি দফতরের আয় এখনও পর্যন্ত ২০ শতাংশ বেড়েছে। এই অবস্থায় এ বছরের শেষে রাজ্যের আবগারি থেকে আয় ২০ হাজার টাকা ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় কয়েকশো কোটি টাকা উপার্জন আবগারি দফতরের, উঠল মদ্যপানের ফোয়ারা

২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে এই খাত থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রাজ্যের। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে এবছরের শেষে আবগারি থেকে রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন আধিকারিকরা। এদিকে, প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজোর সময় ব্যাপক পরিমাণে মদ বিক্রি হয়। আর তা করে দেদার লাভ উঠে আসে রাজ্যের কোষাগারে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেটা বোঝা যাচ্ছে আবগারি দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যানে। 

আবগারি দফতর সূত্রে খবর, এবার দুর্গাপুজোর পাঁচদিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে মদ বিক্রি করে। এখন বাকি আছে কালীপুজো। তখনও মদেন ফোয়ারা উঠবে বলে আশাবাদী আরগারি দফতর। তার উপর এখন একটা ঠাণ্ডা ভাব বিরাজ করছে বঙ্গে। তাই সুরাপ্রেমীরা মদ ঢালছেন কণ্ঠে। সেটাই বাড়াচ্ছে আয়। 

আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। তার তুলনায় চলতি অর্থবর্ষের সাত মাসের মধ্যে যে আয় হওয়ার কথা ছিল, তার ২০ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে উৎসব, যেমন কালীপুজো, দীপাবলি এবং অবশেষে বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনের সময় পর্যন্ত এই খাতে রাজস্ব আদায় ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত যে গতি দেখা যাচ্ছে সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন আবগারি কর্তাদের অনেকে। আধিকারিকদের মতে, বর্তমানে মানুষের মধ্যে মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর সেই কারণেই এই খাতে আয় অনেকটাই বেড়েছে। যদিও অর্থ দফতরের কর্তারা এ বিষয়টি মানতে নারাজ।