Fake rape case racket: ধর্ষণের ভুয়ো মামলা করতে ‘সুন্দরী’ গরিব মেয়েদের দেওয়া হত টাকা! চক্র ফাঁস পুলিশের

গরিব পরিবারের ‘ভালো দেখতে মেয়েদের’ টাকার লোভ দেখানো হত। তারপর তাদের দিয়ে দায়ের করানো হত ধর্ষণের ভুয়ো মামলা। ‘টার্গেট’ করা হত পয়সাওয়ালাদের। তারপর হুমকি দিয়ে ওই ‘টার্গেট’-দের থেকে টাকা আদায় করা হত। দাবিমতো টাকা না দিলে দায়ের করা হত ধর্ষণের মামলা। এমনই একটি চক্রের পর্দাফাঁস করল গোয়া পুলিশ। সেই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোয়া পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, একটি বড় আন্তঃরাজ্য চক্রের হদিশ মিলেছে। গুজরাট থেকে যে চক্র চালাত দুই মহিলা। তারা গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাটের মতো জায়গায় সেই চক্র চালাত বলে গোয়া পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে।

কীভাবে ওই চক্র কাজ করত? গোয়া পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, এসকর্ট সার্ভিস প্রদানের অছিলায় অনলাইনে ‘ক্লায়েন্ট’-দের সঙ্গে যোগাযোগ করত মহিলারা। তারপর ওই ‘ক্লায়েন্ট’-দের সঙ্গে গোয়ায় যেত। তাঁদের সঙ্গে হোটেলে থাকত। পরদিন বড় অঙ্কের টাকার দাবি করত। সেই টাকা না দিলে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা দায়েরের হুমকি দিত। যাঁরা টাকা দিতেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাও দায়ের করত।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গুজরাটের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল যে গোয়ার একটি হোটেলে ২৩ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন ওই ব্যক্তি। অপর একটি ঘটনায় মহারাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল এক তরুণী। ওই তরুণীর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে যখন অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর নিতে চায় পুলিশ, তখন তরুণী মামলা দায়ের করতে রাজি হয়নি।

আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ, ডাকাতি, লুটে মুসলিমরা ১ নম্বরে’- AIUDF নেতা বদরুদ্দিনের মন্তব্যে বিতর্ক

গোয়া পুলিশের ডেপুট ইনস্পেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) তথা স্পেশাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের বিশেষ দলের নজরদারির দায়িত্বে থাকা আসলাম খান জানিয়েছেন, ওই আন্তঃরাজ্য চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। সেই চক্রের মাধ্যমে ‘ভালো দেখতে’ গরিব পরিবারের মেয়েদের চিহ্নিত করা হত। ধর্ষণের ভুয়ো মামলা দায়ের করতে তাদের টাকা দেওয়া হত। গোয়া পুলিশের ডেপুট ইনস্পেক্টর জেনারেল বলেন, ‘তরুণীরা বুঝতে পারে যে এই চক্রের মাধ্যমে সহজেই টাকা কামানো যাবে, তখন তারাও ওই চক্র ছাড়তে চাইত না। আর এটা ভয়ংকর চক্র। কেউ একবার ঢুকে পড়লে, সেখান থেকে বেরোতে পারত না।’

আরও পড়ুন: Torture on dog: ঘেউ ঘেউয়ে বিরক্ত হয়ে কুকুরের যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে শাস্তি, গ্রেফতার ১