Lionel Messi Clinches Record-extending Eighth Ballon D’Or Award Dedicates To Diego Maradona

প্যারিস : নজিরের বর্ণময় খাতায় আরও অক অধ্যায়। আর বিশ্বসেরার খেতাব জিতে কিংবদন্তিকে সেই খেতাব উৎসর্গ করে ফুটবলবিশ্বকে একসুতোয় জুড়লেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। আরও একবার ব্যালন ডি’ওর ( Ballon d’Or) জিতলেন এলএমটেন। নিজেরই রেকর্ড আরও উন্নত করে কেরিয়ারের আট নম্বর বার। আর অষ্টমবার বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার কীর্তি গড়ে সেই পুরস্কার দিয়েগো মারাদোনাকে (Diego Maradona) উৎসর্গ করলেন আর্জেন্তাইন মেসি।

মেসির পরে যে তালিকায় রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সিআর সেভেনের ঝুলিতে পাঁচটি ব্যালন ডি’ওর। তারপর রয়েছেন মিশেল প্লাতিনি, জোহান ক্রুয়েফ ও মার্কো ফন বাস্তেন। তিনবার করে বিশ্বসেরা ফুটবলার হওয়ার নজির রয়েছে তাঁদের। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর সুবাদে ফের একবার ৩৬ বছরের মেসি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে।

চূড়ান্ত তালিকায় থাকা ৩০ জন ফুটবলারকে টেক্কা দিয়েছেন বর্তমানে ইন্টার মিয়ামি দলের সদস্য লিওনেল মেসি। শেষল্যাপে তিনি টেক্কা দিয়েছেন এরিক হালান্ডকে। ক্লাব ফুটবল মরশুমে ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে ত্রিমুকুট জেতানোর পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন হালান্ড। যদিও দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্তিনাকে ফের বিশ্বসেরা করার সুবাদেই বিশ্বসেরার মঞ্চে বাকিদের ফের একবার টেক্কা দিলেন লিও।

প্যারিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যালন ডি’ওর ফের একবার জিতে উঠে মেসি বলেন, ‘জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা দিয়েগো। এটা (ব্যালন ডি’ওর) তোমার জন্য।’ প্রসঙ্গত, ভারতীয় সময় যখন অনুষ্ঠানটি হয়েছে, সেই সময় প্যারিসে ছিল ৩০ নভেম্বর। যেদিন জন্মদিন বিশ্ব ফুটবলের প্রয়াত কিংবদন্তি মারাদোনার। 

লিওনেল মেসির মতোই আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর এমিলিয়ানো মার্তিনেজ জিতেছেন বিশ্বসেরা গোলরক্ষকের লেভ ইয়াসিন ট্রফি। পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ২১ বিশ্বসেরা ফুটবলারের তকমা জিতে নিয়েছেন ইংল্যান্ড ও রিয়াল মাদ্রিদের জুডে বেলিংহাম। এদিকে, বার্সেলোনা তথা স্পেনের মহিলা দলের মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি জিতেছেন মহিলাদের ব্যালন ডি’ওর। স্পেনকে মহিলাদের বিশ্বকাপ জেতানো থেকে বার্সেলোনাকে মহিলাদের লা লিগা জেতানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন আইতানা।

তবে স্বাভাবিকভাবেই ব্যালন ডি’ওরের মঞ্চ ছিল মেসিময়। ২০০৯ সালে প্রথমবার ব্যালন ডি’ওর জিতেছিলেন লিও। তারপর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালেও বিশ্বসেরা ফুটবলারের তকমা উঠেছিল প্রাক্তন বার্সেলোনা ও প্যারিস সাঁ জাঁ’র ফুটবলারের মুকুটে।

আরও পড়ুন- জন্মদিনে ইডেনে নিজের ছবি দেওয়া কেক কাটবেন কোহলি, স্মারক-আতসবাজিতে নায়ক বরণ