কালীপুজোয় জাতীয় ও রাজ্য সড়কের উপরে তোরণ করা যাবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি পুলিশের

এবার বারাসতে ১৭টি বিগ বাজেটের কালীপুজো হচ্ছে। আগামী ১২ নভেম্বর কালীপুজো আছে। আর বারাসতের কালীপুজো নিয়ে এবার কড়াকড়ি করল জেলা পুলিশ। তাতে অনেকে অখুশি হলেও বিশেষ কিছু করার নেই। একাধিক নির্দেশ জারি করেছে জেলা পুলিশ। তার মধ্যে একটি হল, কালীপুজোয় জাতীয় এবং রাজ্য সড়কের উপর তোরণ করা যাবে না। দ্বিতীয়টি হল, বন্ধ থাকবে ভিআইপি পাসও। আর তিন, ভিড় সামাল দিতে কমিটিগুলিকে ‘বাহির পথ’ প্রশস্ত করতে হবে। এমনই সব নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ বলে খবর।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ বারাসতের কালীপুজো মানেই একটু অন্য ধাঁচের। তার উপর বিগ বাজেটের। সেখানে ভিড় জমাতে আসেন ভিন জেলার মানুষজন। কলকাতা থেকে মানুষজন যান বারাসতের কালীপুজো দেখতে। কারণ এত ধরণের থিম ও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা বারাসতের কালীপুজোকে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। তাই এখানে ভিড় বেশি হয়। আর কয়েকটা দিন হাতে আছে। তার পরই শুরু হয়ে যাবে কালীপুজোর আনন্দ। তাই এবার আগেভাগেই কালীপুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেন বারাসত পুলিশ জেলার শীর্ষ কর্তারা। মণ্ডপ এবং দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে নানা বিধিনিষেধের কথা বৈঠকে বলা হয়েছে।

কেন এমন সিদ্ধান্ত পুলিশের?‌ বারাসতের উপর দিয়ে গিয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক। বারাসত ডাকবাংলো মোড় এলাকা থেকে কালীপুজো শুরু হয়। আর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে একাধিক বিগ বাজেটের কালীপুজো হয়। প্রত্যেকটি কালীপুজো মণ্ডপেই জনস্রোত দেখা যায়। ভিড়ের জন্য কালীপুজোর দিনগুলিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখতে হয়। জাতীয় সড়কের উপরই একাধিক কালীপুজো কমিটি তোরণ তৈরি করে। তোরণ তৈরি হয় যশোর রোড এবং টাকি রোডে। জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে ব্যাপক ভিড়ের মধ্যে বাঁশের তোরণ ভেঙে গেলে বিপত্তি ঘটবেই। তাই এবার তোরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌১০০ দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকের চিঠির উত্তর এসেছে’‌, মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠালেন রাজ্যপাল

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এখানে প্রত্যেক বছর নানা কালীপুজো কমিটি ভিআইপি এবং সাধারণ পাস ইস্যু করে। তা দিয়ে প্রতিমা দর্শন করা যায়। ভিড়ও সেভাবেই সামলানো হয়। কালীপুজো কমিটির পাশাপাশি পুলিশও ভিআইপি পাস চালু করে। পুলিশ অথবা ক্লাবের পাস সঙ্গে থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আট থেকে আশিকে। সেই নিয়মে এবার ইতি টেনেছে পুলিশ। এই বছর কোনও পাস ইস্যু যাবে না বলেও কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‌কালীপুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপের ‘বাহির পথ’ আরও চওড়া করতে হবে। শহরের চারটি কালীপুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। আর যে কালীপুজোকে ঘিরে মেলা হয়, সেই কমিটিগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’‌