‘স্বাস্থ্য়ক্ষেত্রেও দুর্নীতি, অথচ হাত গুটিয়ে রাজ্য’, রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তের

শিক্ষক নিয়োগ এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আগেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এবার রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। কিছুদিন আগেই ইডির হাতে এই দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এরইমধ্যে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনিতেই বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তার ওপর নতুন করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আরও অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। 

আরও পড়ুন: অভিষেক নম্বর দেওয়ার পর ফোন এল সুকান্তর কাছে, নমুনা দিলেন এক্সে, উঠল প্রশ্নও

সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য ভবন এমনকী সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও দুর্নীতি হচ্ছে। এর পাশাপাশি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সুকান্ত। এছাড়াও সম্প্রতি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে দালালচক্র প্রকাশ্যে এসেছিল। এ বিষয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

সুকান্তের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না। তারা হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। তাই রাজ্যপাল যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করেন, সেই আর্জিই জানিয়েছেন সুকান্ত। অন্যদিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিদ্যালয় নিয়েও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই।

প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে আরজিকর হাসপাতালে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিব। মেডিক্যাল কলেজের সুপার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। অভিযোগ ছিল, আরজিকর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা বর্জ্য কোটি-কোটি টাকায় বাংলাদেশের বাজারে পাচার করা হচ্ছে। 

হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। সেই সংস্থার তরফেও অভিযোগ করা হয়েছিল যে হাসপাতাল থেকে অনেক চিকিৎসা বর্জ্য তাঁরা পাচ্ছিলেন না। যার মধ্যে রয়েছে ব্যবহার করা স্যালাইনের বোতল, তার, সিরিঞ্জ, গ্লাভস প্রভৃতি। এই অভিযোগ ওঠার পরে তদন্ত শুরু করে স্বাস্থ্য ভবন। এই অবস্থায় সুকান্ত মজুমদারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে রাজ্যপাল কি পদক্ষেপ নেন? সেটাই দেখার।