India-Bangladesh: আমরা কৃতজ্ঞ! ‘বন্ধু’ বাংলাদেশের উন্নয়নে এগিয়ে এল ভারত, যৌথ উদ্বোধনে মোদী-হাসিনা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার ১লা নভেম্বর ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন তাঁরা। তিনটি প্রকল্পেই সহায়তা করেছে ভারত। 

এই তিনটি প্রকল্প হল, আখাউরা আগরতলা ক্রশ বর্ডার রেল লিঙ্ক, খুলনা মঙ্গলা পোর্ট রেল লাইন ও মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট ২ এর সূচনা করা হয়েছে। 

আখাউরা-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল যোগাযোগ প্রকল্পে ৩৯২.৫২ কোটি টাকার সহায়তা করা হয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে ১২.৭৪ কিমি এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর মাধ্য়মে ত্রিপুরার অংশে থাকছে ৫.৪৬ কিমি। আর বাংলাদেশের অংশে থাকছে ৬.৭৮ কিমি অংশ। 

খুলনা-মঙ্গলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্প। এখানে মোট ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানও প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে ভারত। 

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পেও ভারত ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোন দিচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হবে।

মূলত রেল ও পাওয়ার প্রজেক্টের সূচনা করা হয়েছে এদিন। আর এই তিন প্রকল্পের হাত ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। 

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে বরাবরই ভালো সম্পর্ক। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবসময় দুই দেশ একে অপরের পাশে দাঁড়ায় । আর সেই নিরিখে এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেল দুই প্রতিবেশী দেশ। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেল। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাজ জানাতে চাই। জি ২০ সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তাতে তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

বিপদে আপদে, সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থাকে ভারত ও বাংলাদেশ। এবার সেই নিরিখে কার্যত বন্ধুত্বের শর্ত মেনে প্রতিবেশী দেশের উন্নয়নে এগিয়ে এল ভারত।