KMC Property Tax: কর খেলাপির সম্পত্তি নিলাম করে ১৯ কোটি টাকা ঢুকল পুরসভার ঘরে

২০০৫ সাল থেকে কলকাতা পুরসভার সম্পত্তি কর দেননি এক হোটেল মালিক। তাঁর হোটেল নিলাম করে ১৯ কোটি টাকা পুরসভার কোষগারে ঢুকতে চলেছে। একই সঙ্গে বকেয়া করের টাকাও পাচ্ছে পুরসভা।

কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভার কর বকেয়া রেখেছিল রাউডন স্ট্রিটের একটি তিনতারা হোটেল। পুরসভার পক্ষ থেকে বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কোনও হোলদোল দেখাননি হোটেলের মালিক। কর এবং বকেয়ার উপর সুদ বাড়তে বাড়তে ৩ কোটি ২ লক্ষ ২৯৪ টাকায় গিয়ে পৌঁছয়।

অবশেষে ২০২১ সালে হোটেলটি দখল নেয় পুরসভা। সম্পত্তিকর মূল্যায়ন বিভাগের পক্ষ থেকে হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও বকেয়া কর পরিশোধের জন্য পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি হোটেল মালিক।

এরপরই হোটেলটি নিলাম করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কলকাতা পুরসভা। আদালত নিলামের অনুমতি দেয়। পুরসভার পক্ষ থেকে নিলাম করা হলে ওই নিলামে কেউ অংশ নেননি। হোটলটি তার পর থেকে পড়েই থাকে। অবশেষে এক ব্যক্তি চিঠি লিখে হোটেলটি কিনতে চান।

(পড়তে পারেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ পেল খসড়া তালিকা, নতুন ভোটার বাড়ল কত?‌) 

শেষ পর্যন্ত হোটেলটির দাম নির্ধারণ করা হয় ২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে পুরসভা বকেয়া সম্পত্তি কর বাবাদ পাবে ৪ কোটি টাকা। বাকি ১৯ কোটি টাকা পুরসভার কোষাগারে ঢুকেছে।

সম্পত্তিকর বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কর ফাঁকি কার্যত প্রায় ছোঁয়াচে রোগের মত ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগের প্রভাব মধ্যবিত্তের চেয়ে উচ্চবিত্তের মধ্যে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে তাঁরাই বেশির ভাগ সময় বাণিজিক সম্পত্তির কর বকেয়া রেখে দিচ্ছেন।

বকেয়া সম্পত্তি কর আদায় করতে বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা পুরসভা জোর কদমে মাঠে নেমেছে। কর খেলাপিদের প্রথম বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়। তার পর তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্পত্তি কর বিভাগের অধিকারিকরা মনে করছেন, এই হোটেল বিক্রি আগামী দিনে তাঁদের পদক্ষেপের উদারহণ হিসাবে কাজ করবে।