Word of the year: শব্দের লড়াইয়েও হারল ইংল্যান্ড! ব্যাজবল-সহ ২,০০০ কোটি ওয়ার্ডকে ছাপিয়ে সেরা হল AI

কলিনস ডিকশনারি আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সংক্ষিপ্ত রূপ ‘এআই’-কেই ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত করেছে। কোটি-কোটি ওয়ার্ড বিচার করে এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছে কলিনস ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ।

ডিকশনারির প্রকাশক জানিয়েছেন, পরবর্তী প্রযুক্তিগত বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম মেধা বা এআই-কেই ‘ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার’ হিসাবে বেছে নেAয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে মানুষ ‘এআই’ নিয়ে সর্বাধিক আলোচনা করেছে। ‘এআই’-এর ফলে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে বা যাবে।

প্রথমে কলিনস কর্পাসে থাকা ২,০০০ কোটি ওয়ার্ড খতিয়ে দেখা হয়। এই শব্দগুলি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, খবরের কাগজ, পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া টিভি ও রেডিয়োয় ব্যবহৃত শব্দকেও নেওয়া হয়।

সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যালেক্স বিক্রফট জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি যে, এআই এখন সবচেয়ে চর্চিত ও গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব দ্রুত তা আমাদের জীবনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে য়াচ্ছে। যেভাবে ইমেল, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মতো শব্দগুলি আমাদের প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে।

তবে শুধু এআই নয়, তালিকায় আরও বেশ কিছু শব্দ ছিল, যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক আলোচনার পর কিছু ওয়ার্ডকে নিয়ে একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ব্যাজবল-ও ছিল। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ক্রিকেটে খেলার সময় ব্যাজবল প্রবলভাবে আলোচনায় আসে। এককথায় ব্যাজবল মানে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের রীতি। বিশেষ করে ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ের সময় এই নীতি নিয়ে খেলেছিল ইংল্যান্ড।

এছাড়া ডিইনফ্লুয়েন্সিং, আলট্রা-প্রসেসড, ডিব্যাংকিং, গ্রিডিফিকেশন-এর মতো শব্দগুলিও তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ‘এআই’ জয়ী হয়।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)