জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে অনায়াসে, নভেম্বরের শুরুতেই আকর্ষণ পর্যটকদের

এখনও শীত আসেনি। ডিসেম্বর মাস পড়েনি। তারপরও জলপাইগুড়ি থেকে দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের। আজ, বুধবার জলপাইগুড়ি থেকে স্পষ্ট দেখা মিলল শীতল কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের। আর আজ সাতসকালে এমন নৈসর্গিক দৃশ্যকে দেখে আপ্লুত শহরবাসী। এমনকী এখন ওখানে থাকা পর্যটকরাও উচ্ছ্বসিত। কারণ এটা অনেকটা মেঘ না চাইতেই জলের মতো। এখন জলপাইগুড়ি শহর এবং আশপাশের জায়গা থেকেই দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়। এই শৃঙ্গ দেখার জন্য মানুষজন দূরদূরান্ত থেকে আসেন দার্জিলিংয়ে। সেখানে সমতল থেকেই দেখা মিলল রোদ ঝলমলে কাঞ্চনজঙ্ঘার।

এদিকে হিমালয় পর্বতের এই চূড়ার অপার সৌন্দর্য সকলকেই আকর্ষিত করে তোলে। সেই সৌন্দর্য এখন জলপাইগুড়ি শহর এবং ডুয়ার্স থেকেই দেখা যাচ্ছে। আজ বুধবার সেই দৃশ্যই দেখা গেল। জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, লাটাগুড়ি–সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় দেখা গেল একদম স্পষ্টভাবে। প্রচুর মানুষ এই দৃশ্য দেখলেন এদিন। আর তুললেন ছবিও। দেদার সেলফি উঠল পাহাড়কে সঙ্গে রেখে। ভিড় বাড়ল পর্যটকদের। এই ছবি ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অন্যদিকে এখন আবহাওয়া বদলাতে শুরু করেছে। সকালে ঠাণ্ডা অনুভব হলেও দুপুরে গরম লাগছে। আবার রাতের দিকে ঠাণ্ডা লাগছে। একটানা পাখার তলায় থাকা যাচ্ছে না। শীতের শিরশিরানি অনুভূত হলেও এখনও শীত পড়েনি।। তার মধ্যেই চোখে ভেসে উঠল একফালি কাঞ্চনজঙ্ঘা। বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি শহর থেকে এটা দেখা গেলেও প্রথমে নিজের চোখকেই অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি। কিন্তু হিমালয়ের শিখর দেখে খুশির হাওয়া বইছে পর্যটকদের মনে। সকলেই। আজ জলপাইগুড়ি শহরের তিস্তা স্পার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, মাশকলাই বাড়ি, টাউন স্টেশন এলাকা থেকে দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌দুর্গাপুজোয় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে’‌, সমীক্ষা তথ্য তুলে জানালেন মমতা

আর কী দেখা গেল?‌ নয়নাবিরাম এই দৃশ্য দেখতে এদিন সকাল থেকেই বাইরে বেরিয়ে আসেন সকলে। কেউ দেখলেন ফাঁকা জায়গা থেকে, কেউ আবার বাড়ির ছাদ থেকে। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতেও কেউ ছাড়লেন না। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ফি বছর আকাশ পরিস্কার থাকলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলে। এই বছর দেখা দিল নভেম্বর মাসের পয়লা তারিখেই। শহরের দূষণের মাত্রা কমেছে বলেই মনে করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক ডাঃ রাজা রাউত বলেন, ‘‌বাতাসে দূষণের মাত্রা কমেছে। তাই বেশি স্বচ্ছ হয়েছে আকাশ। তার জেরে শহর থেকে অনেক বেশি স্পষ্ট কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের চূড়া।’‌