বিএনপির জন্য চিঠি নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন ইসির প্রতিনিধি

ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানাতে চিঠি নিয়ে বিএনপির অফিসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি। নির্বাচন কমিশনের বার্তাবাহক মো. মহসিন বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় গিয়ে তালাবন্ধ অবস্থায় পান। এ কারণে আমন্ত্রণপত্রটি দিতে পারেননি। তবে তিনি চিঠি দেওয়ার জন্য এখনও আশপাশে অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি সকাল ১০টার দিকে ওই চিঠি নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। কিন্তু বাইরে পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে থামিয়ে বলেন, অফিস বন্ধ, ভেতরে কেউ নেই।

পরে ওই ইসি কর্মকর্তা কার্যালয়ের পাশে হোটেল ভিক্টোরিয়াতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি টেলিফোনে বিএনপির অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহসিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আপনাদের জানানোর মতো কোনও তথ্য এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। আমি চিঠি নিয়ে সকালে বিএনপির দফতরে এসেছি। কিন্তু অফিস তালাবদ্ধ থাকায় হস্তান্তর করতে পারিনি। আমি এখনও ওই এলাকায় অপেক্ষা করছি। চিঠি দেওয়ার জন্য আমি সর্বোচ্চ ও সর্বশেষ চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপিসহ ৪৪টি নিবন্ধিত দলের সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিবকে এই চিঠি দিচ্ছে ইসি।

আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে ও বিকালে দুই ভাগে ২২টি করে দলের সঙ্গে এই সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বিএনপিসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি। সে কারণে বিএনপি ও সমমনা দল এবং সিপিবি, বাসদসহ সংলাপ বর্জন করা ৯ দলকে গত মার্চে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাতেও সাড়া দেয়নি দলগুলো।

গত ২৮ অক্টোবর কাকলাইল ও আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরদিন রবিবার হরতাল ডাকে দলটি। এরপর মঙ্গলবার থেকে ডাকা হয় তিন দিনের অবরোধ। বিএনপি মহাসচিবসহ দলটির বেশ কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।

শনিবারের ওই সংঘর্ষের পর নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ করে পাহারা বসায় পুলিশ। কার্যালয়ের পাশের ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ করে দেয় তারা।