শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দুকে থানায় তলব করল পুলিশ, সারদা মামলার তদন্তে ডাক

অধিকারীদের দুর্নীতিও যে আছে সেটা গতকাল নবান্ন থেকে নাম না করে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তখনই গর্জে উঠেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আইন যে আইনের পথে চলবে সেটা স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই আজ, বৃহস্পতিবার সারদা নথি লোপাট করা মামলার তদন্তে আবার কাঁথি থানায় ডেকে পাঠানো হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। কারণ কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন সৌমেন্দু। আজ তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে দু’‌দিন আগে সৌম্যেন্দু অধিকারীকে বিষয়টি নিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। সৌম্যেন্দুর আইনজীবী সূত্রে খবর, এই নোটিশের ভিত্তিতে থানায় হাজিরা দেবেন সৌম্যেন্দু। আগেও দু’বার তাঁকে একই মামলায় তলব করা হয়েছিল। তখনও নানা প্রশ্ন করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন কাঁথি পুরসভা এলাকায় একটি জমি কিনেছিল। তাতে আবাসন গড়ার পরিকল্পনা ছিল। কাঁথি পুরসভা থেকে জমি হস্তান্তরও করা হয়েছিল। পরে সুদীপ্ত সেন জেলে যেতেই সেই জমিতে পুরসভা আবর্জনা ফেলার কাজ করে। এই জমি কেনা এবং বিনিময়ে টাকা পুরসভা পাওয়ার মধ্যে সৌম্যেন্দুর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ। তারই তদন্ত করছে পুলিশ।

অন্যদিকে সেই জমি নিয়ম মেনে দেওয়া হয়েছিল কিনা, সারদাকর্তার জমি বাবদ দেওয়া টাকা কোথায় গেল, কত টাকা দিয়েছিল—এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় পুলিশ। তাই তলব করা হয়েছে সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। আর সৌম্যেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌রাজনৈতিক উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবারকে টার্গেট করা হচ্ছে। যে জমির ফাইল লোপাটের অভিযোগ তোলা হচ্ছে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, সেই চেয়ারে আরও দু’জন বসেছিলেন। তাঁদের কাউকেই এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি।’

আরও পড়ুন:‌ নিজের গড়েই দলীয় কর্মসূচিতে নেই জ্যোতিপ্রিয়র ছবি, সময়ের সঙ্গে বদলাল দৃশ্য

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সৌম্যেন্দু অধিকারীকে আগেও ডাকা হয়েছিল। তিনি যা উত্তর দিয়েছিলেন তাতে সন্তুষ্ট ছিল না কাঁথি থানার পুলিশ। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টেও যেতে দেখা গিয়েছিল সৌম্যেন্দুকে যেতে এই জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে। তবে আইনজীবী অনির্বাণের অভিযোগ, ‘‌দুদিন আগে সৌমেন্দুকে ১৬০ ধারায় সাক্ষী হিসেবে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে কাঁথি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এভাবে সৌমেন্দু অধিকারীকে কেন বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে সেটা পরিষ্কার নয়। সৌমেন্দু থানায় গেলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’‌