Mahua Moitra: ‘মিটিংয়ে বস্ত্রহরণ করেছে,’ স্পিকারকে চিঠি মহুয়ার, দিলেন ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধুর’ উপহারের তালিকা

তৃণমূল কংগ্রেস এমপি মহুয়া মৈত্র। প্রশ্ন শোনার পরেই লোকসভার এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন মহুয়া। বেরিয়ে এসেই তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহুয়া। এবার স্পিকার ওম বিড়লাকে বিস্ফোরক চিঠি লিখলেন মহুয়া মৈত্র। সেখানে তিনি লিখেছেন, কমিটির সকলের সামনে তাঁকে কার্যত বস্ত্রহরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি অভিযোগ তুলেছেন, মিটিংয়ে তাঁর প্রতি অনৈতিক, নিম্নমানের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কার সঙ্গে রাতে ফোন করেন সেটা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। 

এদিকে লোকসভার এথিক্স কমিটিতে বিরোধী সদস্যরাও এনিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার সোংকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, অনৈতিক প্রশ্ন করা হয়েছে। এনিয়ে মহুয়া মৈত্র নিজেও এক্স হ্যান্ডেলে চিঠির কপি তুলে ধরেছেন।

এদিকে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান যে প্রশ্ন করেছিলেন তাকে নোংরা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মূল প্রসঙ্গ থেকে সরে এসে নানা ধরনের বাজে মন্তব্য করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মহুয়া।

 

মহুয়া লিখছেন ওই যে প্রবাদে আছে বস্ত্রহরণ, সবার সামনে সেটাই করলেন এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান। তৃণমূল সাংসদ লিখেছেন, এথিক্স কমিটির মধ্যে নীতি ও নৈতিকতা বলে কিছু অবশিষ্ট নেই। বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে কোনও প্রশ্ন না করে, নানা ধরনের অপমানজনক প্রশ্ন করেছেন।১১জন সদস্যের মধ্য়ে ৫জন ওয়াক আউট করেছেন। এই লজ্জাজনক ব্যবহারের জন্য তাঁরা এটা বয়কট করেছেন।

অন্যদিকে সোঙ্কার জানিয়েছেন, কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু তিনি সহযোগিতা না করে রেগে বেরিয়ে গেলেন। বিরোধী সদস্যদের নিয়ে তিনি বেরিয়ে গেলেন। তাঁরা আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনৈতিক শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

মহুয়া লিখেছেন, বহু এমপি অনেকের কাছেই তাঁদের লগইন আইডি বলেন। তারপরেও কেন সেই নিয়মটা জানানো হয়নি?

আমি বার বার অন রেকর্ড প্রতিবাদ করেছি , আমি বলেছি তদন্ত সম্পর্কিত যে কোনও প্রশ্ন করলে সেটা স্বাগত। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত প্রশ্ন করছিলেন যেটা একজন নারীর মর্যাদাহানিকর। তিনি লিখেছেন, ২ ঘণ্টা ধরে এটা হয়েছে। এরপর বিরোধীরা সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই চিরহরণের অংশ হতে পারবেন না। এরপরই তাঁরা বেরিয়ে যান।

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ঘুষদাতা মিস্টার হীরানন্দানি কোথাও নগদ দেওয়ার কথা বলেননি। এমপি হওয়ার আগে থেকেই হীরানন্দানি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু।তার কাছ থেকে যে উপহার পেয়েছি সেগুলি হল, একটা স্কার্ফ, কিছু মেক আপের আইটেম, বোম্বেতে যাওয়ার সময় গাড়ি আর ড্রাইভার, ৫ বছরে ৪-৫বার, দুবার দুবাইতে,আমার সরকারি বাসভবনের কিছু বাস্তু ডিজাইন। এটাতে হিরানন্দানি পয়সা নেননি।