Sachin-Seema: লাল শাড়ি, কপালে সিঁদুর, করওয়া চৌথে মাতলেন ভারতে আসা পাক বধূ সীমা, নেট পাড়ায় ঝড় তোলা সেই Video দেখুন

সীমা হায়দার। তিন সন্তানের মা। প্রেমের টানে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন। এরপর তিনি বিয়ে করেন সচিন নামে এক ভারতীয় যুবককে। আর তারপর থেকেই ভারতকেই নিজের দেশ বলে মেনে নেন তিনি।এই দেশের প্রতি নিজের আনুগত্য প্রকাশের জন্য় তিনি একাধিকবার নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। এবার সেই সীমাই অংশ নিলেন হিন্দু অনুষ্ঠানে। করওয়া চৌথের অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন তিনি।

লাল শাড়িতে সীমা হায়দার। সীমান্ত পেরিয়ে আসা পাকিস্তানি বধূ। সীমার স্বামী সচিন তাঁকে একটি মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন। এরপর স্বামীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তিনি। একাধিকবার তিনি স্বামীর পা স্পর্শ করেন। একেবারে যেন হিন্দু বাড়ির বউ। এভাবে করবা চৌথের অনুষ্ঠানে সীমার অংশগ্রহণকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা চর্চা হচ্ছে। রীতিমতো সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে এদিন সীমা সচিনের চরণ স্পর্শ করেন। তবে সীমাকে ঘিরে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। সীমা কি পাকিস্তানের চর? সেই প্রশ্নও উঠেছে বার বার। তবে সীমাকে বার বার তার প্রমাণ দিতে হয়েছে।

 

তবে গ্রেটার নয়ডাতে ফের তার প্রমাণ দিলেন সীমা। করওয়া চৌথের অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিলেন। সেই সঙ্গেই মঙ্গলসূত্র পরিয়ে দেন সচিন। গ্রেটার নয়ডার সচিন মীনার স্ত্রী সীমা হায়দার। এটাই ছিল তাঁর প্রথম করবা চৌথ। আর সেই ভিডিয়ো কার্যত ঝড় তুলেছে নেট পাড়ায়। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে স্বামীকে পাশে নিয়ে ছবি তুলেছেন সীমা। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট পাড়ায়। পাকিস্তান থেকে আসা কোনও বধূ এভাবে ভারতকে নিজের দেশে বলে মেনে নিয়ে হিন্দু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন। আসলে সীমান্তের কাঁটাতার, দুদেশের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক সব কিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে জয় হয়েছে ভালোবাসার।

এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে এক ব্যক্তি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি ক্যাপশানে লিখেছেন, নিজের বউয়ের দিকে খেয়াল নেই, সীমা করওয়া চৌথ করল কি না তা নিয়েই যত চিন্তা। এরপর বলা হয়েছে দেখে নিন সেই ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, লাল শাড়ি পরে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সীমা। এরপর তিনি করবা চৌথের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।