Transfer of BDO: বিডিওর বদলিতে ফুঁপিয়ে কান্না তৃণমূল বিধায়কের, ‘কাটমানি’ খোঁচা বিজেপির

বদলি হয়েছেন বিডিও। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বিডিও। বিডিও শানু বক্সি সরকারি নিয়মেই বদলি হয়েছেন। গোটা রাজ্য জুড়েই প্রশাসনিক আধিকারিকদের রুটিন বদলি হচ্ছে। আর সেই বিডিওর বিদায় সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে কেঁদে ভাসালেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে একেবারে ছলছল চোখে বিদায় সংবর্ধনায় হাজির ছিলেন। একটা সময় তাকে দেখা যায় চোখ মুছতে। এই ছবি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন বিধায়ক। তবে বিধায়কের এমন কান্না দেখে খোঁচা দিচ্ছেন বিরোধীরা।

তবে অনেকের মতে, আগে একাধিক জায়গায় দেখা যেত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ ভালো সম্পর্ক থাকে না। তবে তৃণমূল জমানায় এই ছবি বিরল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বিডিও, এসডিওর একেবারে গলায় গলায় সম্পর্ক থাকে।

বিধায়ক জানিয়েছেন, করোনার সময় এসেছিলেন ওই বিধায়ক। যেভাবে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য কাজ করে গিয়েছেন এটা বিরল। একেবারে সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। মানুষের মধ্য়ে মিশে গিয়েছিলেন। বিডিওগিরি করেননি।

তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এতদিন কাটমানি খেয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে। সেটা এবার কতটা সম্ভব হবে। সেই চিন্তাতেই হয়তো কান্নাকাটি করছেন। কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতৃত্বও।

তবে এনিয়ে অবশ্য তৃণমূল বা বিডিও কিছু বলেননি। এভাবে নন্দকুমারকে ছেড়ে যেতে কষ্ট পাচ্ছেন তিনিও। আসলে এই অফিসের সঙ্গে তাঁর একট নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এলাকার উন্নতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর মতে, অফিসটাকে কোনওদিন অফিস মনে করিনি। বাড়ি মনে করেছিলাম।…এত সুন্দর টিম না থাকলে নন্দকুমারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম না। একার পক্ষে নন্দকুমারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হত না। সেই টিমের হয়তো ক্যাপ্টেন ছিলাম। টিমকে ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। নতুন ক্যাপ্টেন দলে এসে গিয়েছেন। টিমের সব মেম্বারকে ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। আবেগে ভাসেন বিডিও নিজেও।