‘‌কথা হবে, দেখা হবে ও খেলা হবে’‌, অনুব্রতহীন বীরভূমে কাজলের গলায় চড়া স্লোগান

অনুব্রত নেই বীরভূমে। তার মধ্যেই এবার কাজল শেখের মুখে শোনা গেল খেলা হবে স্লোগান। রামপুরহাটে আইএনটিটিইউসি’‌র বিজয়া সম্মিলনীতে বিজেপির নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এই হুঁশিয়ারি যখন কাজল দেন তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় এবং রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘‌অনুব্রত আমার নেতা’—এই কথা একাধিকবার শোনা গিয়েছে‌ কাজলের মুখে। এবার তাঁর নেতার দেখানো পথেই বুলি আওড়ে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন কাজল শেখ।

এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে অনুব্রত মণ্ডলের ভঙ্গিতেই এবার ‘‌খেলা হবে’‌ স্লোগান দিতে দেখা গেল, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। বিরোধী দল থেকে নেতা–কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসে টানতে কেষ্টর কোনও অনীহা ছিল না। কিন্তু একই কাজে কাজলের অবস্থান একটু আলাদা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‌বিরোধীরা যদি নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে ভাবেন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করবেন, সেটা হবে না। তখন কথা হবে, দেখা হবে এবং খেলা হবে।’‌ এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিরোধীদের কিন্তু কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন কাজল। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে অনুব্রতহীন বীরভূমে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন অটুট। সেটা বিজেপি করতে পারেনি। আর সেটা সম্ভব হয়েছে কাজল শেখের মতো নেতার মাটি কামড়ে পড়ে থাকার মধ্য দিয়ে। এটাই জেলার নেতা–কর্মীরা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‌ভোটের আগে বহিরাগতরা বীরভূমে এলে তাদের কোথায় পাঠাতে হবে সেটা কর্মীদের পরে জানিয়ে দেব। খেলা হবে।’‌ অর্থাৎ বিরোধীদের প্রতি কড়া বার্তা তিনি এখন থেকেই দিয়ে রাখলেন। সুতরাং আগামী দিনে বীরভূমে টানটান উত্তেজনা দেখা দিতে পারে। এখন কাজল শেখ জনসংযোগ বাড়িয়েই চলেছেন বলে খবর।

আরও পড়ুন:‌ সিএবি–কে চিঠি লিখলেন স্পিকার বিমান, বিধায়কদের নিয়ে খেলা দেখতে চান

ঠিক কী বলেছেন কাজল?‌ অনুব্রতকে গ্রেফতার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে শেষ করা যাবে না বলে তাঁর বার্তা। আর হুঙ্কার ছেড়ে কাজল শেখ বলেন, ‘‌যাঁরা আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছেন, তাঁদের আগে চিহ্নিত করতে হবে। যাঁরা ৩৬৫ দিন মানুষের পাশে থাকেন না তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন। নির্বাচনের বাজনা বাজলেই মানুষের পাশে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, অর্থের প্রলোভন দেখান। আর সেই সমস্ত মানুষদের চিহ্নিত করে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়গায় পাঠিয়ে দিতে হবে। কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা পরে বলব। নির্বাচনের আগে এসে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা করা হলে দেখা হবে, খেলা হবে।’‌