‘A Complete Batter…’: Wasim Akram Heaps Praise On ‘best’ Virat Kohli Get To Know

করাচি: ওয়াংখেড়েতে গতকাল ৮৮ রানেই থেমে গিয়েছিল তাঁর ইনিংস। সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) সমসংখ্যক ওয়ান ডে সেঞ্চুরি হাঁকানোর হাতছানি ছিল। কিন্তু ১২ রান আগেই থেমে গিয়েছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ইনিংস। কিন্তু গোটা বিশ্বকাপের যেভাবে জ্বলে উঠেছেন কিং কোহলি। তাতে গোটা বিশ্বের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ফের প্রশংসায় কুড়িয়ে নিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় কিংবদন্তি প্রাক্তন পাক পেসার ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram)। 

গতকাল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৯৪ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট। একের পর এক দর্শীয় শটে প্রিয় ওয়াংখেড়ের দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে শুভমনের সঙ্গে ১৮৯ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। যে ধারাবাহিক ব্য়াটিংয়ের নমুনা রেখেছেন বিরাট, তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়াসিম আক্রম। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন পাক কিংবদন্তি বলেন, ”একবার বিরাটের ব্য়াটিংয়ের দিকে নজর রাখলেই বোঝা যাবে, কী অসাধারণ প্লেয়ার ও। আমার মতে বিশ্বের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ব্যাটার। আর একটি কি দুটো সেঞ্চুরি দূরে হয়ত বিরাট সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি থেকে। সচিনের রেকর্ড খুব তাড়াতাড়ি ছুঁয়ে ফেলবে ও। প্রথমে নিজেকে ক্রিজে সেট করে নেয়। এরপর স্পিন, পেস, মিডিয়াম পেস সবকিছুর বিরুদ্ধেই সাবলীলভাবে খেলে যায়। অসম্ভব ধারাবাহিক।”

গতকাল বিরাট ও শুভমনের পার্টনারশিপের প্রশংসা করে আক্রম বলেন, ”খুব দ্রুত ওদের প্রথম উইকেটের পতন হয়েছিল। মাত্র ৪ রানে ১ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তাই বিরাট ও শুভমন প্রথমে এসে ধীরে ধীরে ক্রিজে সেট হয়ে নেয়। বল বাই বল রান করার চেষ্টা করেছিল ওরা, যাতে স্কোরবোর্ড সচল থাকে। কিন্তু যখন ধীরে ধীরে একটা ভাল পার্টনারশিপ হয়ে যায় এরপরই দুজনে হাত খোলে।”

ম্যাচের তখন প্রথম ওভার। দিলশান মধুশঙ্কাকে ফ্লিক করে বাউন্ডারি মেরে শুরু করলেন রোহিত শর্মা। প্রথম বলেই। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই বিপত্তি। বোল্ড হয়ে গেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হিটম্যান।

সেখান থেকে ইনিংসের হাল ধরলেন কোহলি। দ্বিতীয় উইকেটে শুভমন গিলের সঙ্গে ১৮৯ রানের পার্টনারশিপ। ভারতীয় ইনিংসে নতুন আশার সঞ্চার করলেন কোহলি। 

তবে সেঞ্চুরির মুখ থেকে ফিরতে হল গিল ও কোহলি – দুজনকেই। ৯২ বলে ৯২ রান করে মধুশঙ্কার শিকার গিল। কোহলিকেও ফেরালেন মধুশঙ্কা। ৮৮ রানে। তবে ততক্ষণে ভারতীয় ইনিংস থার্ড গিয়ারে চলতে শুরু করেছে। যা পরে ৩৫৭-তে গিয়ে থামে।