Chhattisgarh Vote: মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চলে ভোট, বস্তারে লাল হুঁশিয়ারি, হাত গুটিয়ে বসে নেই প্রার্থীরাও

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সভার আগেই বস্তার এলাকায় ফের মাওবাদী হামলা। পুলিশের চর সন্দেহে তিন গ্রামবাসীকে খুন করেছে মাওবাদীরা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। অপহরণ করে তাদের খুন করেছে বলে অভিযোগ। 

এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই এলাকা থেকে কিছু নকশাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। মনে করা হচ্ছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের মাঝামাঝি ওই এলাকায় ফের ডানা মেলছে মাওবাদীরা। 

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সুকমার একাংশ, বীজাপুর, নারায়ণপুর, কঙ্করের একাংশ এই প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে এখনও মাওবাদীদের দাপট রয়েছে। এখানে নকশালদের সমান্তরাল সরকার চলে। জনতার সরকারের নাম করে তারা এলাকার শাসনতন্ত্রেও প্রভাব ফেলে। এমনকী তাদের হাতে টাকাপয়সাও প্রচুর থাকে বলে অভিযোগ। অস্ত্রও থাকে সঙ্গে। সব মিলিয়ে এখনও এই সব এলাকাগুলি নকশালদের মুক্তাঞ্চল বলেই পরিচিত। 

তবে ভোট এলেই নকশালরা ফের নানারকম ভাবে তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চেষ্টা করে। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এটা নকশালদের একটা পুরানো কায়দা। তবে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নকশালদের সেই আগের মতো দাপট আর নেই। একটা সময় বাংলার একাংশেও মাওবাদীদের দাপট ছিল। তবে সেসব আজ অতীত। ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশাতেও মাওবাদীদের দাপট অনেকটাই কমেছে। বিভিন্ন এলাকায় আজও সুরক্ষা বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকে। 

তবে তার মধ্য়ে আজও ছত্তিশগড়ের বস্তার মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল বলেই পরিচিত। ভোটের মুখে ফের সেই পুরানো কায়দায় নিজেদের উপস্থিতি জাহির করতে শুরু করেছে তারা। ছত্তিশগড়ে দক্ষিণ অংশে বিশেষত বস্তার এলাকায় নকশালরা ফের মাথা তুলতে শুরু করেছে। 

তবে নকশালদের প্রভাব কমাতে ও বাসিন্দারে মধ্যে আস্থা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। মূলত এলাকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ এই দুটির দোহাই তুলেই শাখা প্রশাখা বিস্তার করে মাওবাদীরা। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। চাষ আবাদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একাধিক পয়েন্টে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে খেলা ক্রমশ ঘুরছে। জীবনের মূল স্রোতে চলে আসতে চাইছেন নকশালদের একাংশ। আবার উলটোদিকে সাধারণ মানুষও উন্নয়নের পথে শামিল হচ্ছেন। 

অন্যদিকে নিউজ ১৮এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, যারা ওই এলাকায় ভোটে দাঁড়ান তাঁরা ধরেই নেন তাঁরা মাওবাদীদের হিট লিস্টে থাকবেন। তবে তাতে অবশ্য় রাজনীতির লোকজন হাত গুটিয়ে বসে থাকেন এমনটা নয়। ল্যান্ডমাইনের ভীতিকে উপেক্ষা করেও প্রচারে বের হন তারা।