Green firecrackers: রাজ্যের প্রতি জেলায় একমাস ব্যাপী বাজিবাজারের অনুমোদন দিল রাজ্য সরকারের

রাজ্য সরকার প্রতি জেলায় এক মাস ব্যাপী বাজিবাজার আয়োজন করার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকারা। এর ফলে দেওয়ালি ও কালীপুজোর আগে ব্যবসায়ীরা সবুজ বাজি বিক্রি করতে পারবেন। একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর আশঙ্কা ছিল এ বছর বাজি বাজারের অনুমতি দেবে কিনা রাজ্য সরকার। শেষ পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব বাজি বাজারে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন।

আজ বুধবার থেকেই বাজি বাজার শুরু হচ্ছে মালদার ইংরেজ বাজারের। কলকাতা ময়দানে বাজিবাজার আয়োজন করার অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিনী। অন্য দিকে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ও হাওড়ার ডুমুরজলায় বাজিবাজারের আয়োজন করা হবে।

রাজ্যে বাজি শিল্পে ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ৬ লক্ষেরও বেশি লোক। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও উত্তরবঙ্গে কয়েকটি জেলায় বাজি তৈরি হয়।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে বাজি শিল্পের বিকাশ ঘটে। কলকাতায় প্রথম আতশবাজি কারখানা তৈরি হয়। এর পর তামিলনাড়ুর শিবকাশী ভারতে বাজি তৈরির প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

(পড়তে পারেন। এ বছর চাল ভাঙানোয় আগ্রহী নয় রাইস মিলগুলি, চুক্তি করেছে মাত্র ১৬৬টি চালকল) 

চলতি বছরে রাজ্যে একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন বাজি ক্লাস্টার তৈরির উদ্যোগ নিতে। সেই মতো নবান্নের তরফে জমি খোঁজা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই ক্লাস্টার তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

(পড়তে পারেন। যাত্রী সাথী অ্যাপে ফাটাফাটি সাফল্য, ১১ দিনে বাড়ল ১ লাখ ইউজার!)

এছাড়া আতশবাজি উৎপাদনে ক্ষেত্রে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ীর জানাচ্ছেন, সাধারণ আতশ বাজির চেয়ে সবুজবাজি তৈরি খরচ ৪০ শতাংশ বেশি। সে কারণে ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি সবুজ বাজি তৈরির দিকে ঝুকছে না না। তাছাড়া সবুজ বাজি তৈরির ক্ষেত্রে কোনও অর্থিক সহায়তা করা যায় কিনা তাও রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন। 

 চাহিদা মেটাতে ভিন রাজ্য থেকে বাজি আসে। তাছাড়া চিনে থেকেও বাজি আসে রাজ্য। তবে রাজ্য সরকার বাজি বাজারের অনুমোদন দেওয়ায় কিছু স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন ব্যবসায়ীরা