ICC world cup 2023: টিকিটের কালোবাজারি রুখতে ইডেনের চারপাশে থাকবে ২৫০জন পুলিশ

আগামী রবিবার ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বকাপ ম্যাচ। তার আগে টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে কার্যত হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মিলছে না টিকিট। আবার কিছু ক্ষেত্রে টিকিট মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে ১০ গুণ চড়া দামে।এই অবস্থায় কালোবাজারি রুখতে আজ শুক্রবার থেকে ইডেন গার্ডেনের চারপাশে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়ন করল লালবাজার। যার সংখ্যাটা হল প্রায় আড়াইশো জন। এর পাশাপাশি সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরা দেওয়া দিতে বলেছে ময়দান থানার পুলিশ। যদিও সেকথা অস্বীকার করেছে সিএবি।

আরও পড়ুন: ইডেনের ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ, মুখ খুললেন সৌরভ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ৯৪টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কালোবাজারির অভিযোগ তুলে ময়দান এবং এন্টালি থানায় মোট ৭টি এফআইআর হয়েছে। সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। অভিযোগ উঠেছে, সিএবি’র সদস্যদের অধিকাংশ টিকিট পাননি। স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা সীমিত তা সত্ত্বেও টিকিটের চাহিদা আকাশছোঁয়া হওয়ায় কালোবাজারির অভিযোগ উঠে এসেছে। টিকিট না পেয়ে বেজায় ক্ষুদ্র ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। এ বিষয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘টিকিটের কালোবাজারি অভিযোগ নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমরা সিএবি এবং অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কিন্তু, আরও তথ্য জানার প্রয়োজন রয়েছে।’ তিনি জানান, তারা কতগুলি টিকিট বিক্রি করেছে বা কত টিকিট আছে, কাদের বিক্রি করা হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, টিকিট না মেলায় ক্রিকেটপ্রেমী এবং সিএবির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিকেলে ইডেনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ উঠেছে, ৯০০ টাকার টিকিট ৯০০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই অভিযোগ ওঠার পরে শুক্রবার ওই অনলাইন টিকিট বিক্রি অ্যাপের আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছে ময়দান থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিক ময়দান থানায় হাজিরা দেন। পাশাপাশি সিএবির কর্তা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলেছে পুলিশ। যদিও সিএবির তরফে এই কথা অস্বীকার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই এ প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, টিকিটের কালোবাজারি আটকানো সিএবির পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। অন্যদিকে, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন অনলাইন টিকিট বিক্রিতে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। সেটা বিসিসিআইয়ের ‘বুক মাই শো’ এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।