Jyotipriya Mullick: গায়ের জোরে জমি দখল করে চালের গুদাম বানিয়েছেন বালু, অভিযোগ তাঁরই গাঁয়ের লোকেদের

রেশন দুর্নীতিতে গত শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম আস্থাভাজন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক অভিযোগ। সরকারি ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নানা দুষ্কর্ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এবার তেমনই অভিযোগ এসেছে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর পৈত্রিক বাড়ি বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে। অভিযোগ সেখানে, গায়ের জোরে জমি দখল করে খাদ্য দফতরের গোডাউন তৈরি করেছেন বালু।

অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পুড়শুড়া এলাকায় রেশনের চাল মজুত রাখার জন্য ৫ হাজার মেট্রিকটনের গোডাউন তৈরির নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ আসার পর সরকারি ভাবে জমি অধিগ্রহণ না করে মন্ত্রীর আত্মীয়রাই নেমে পড়ে জমি অধিগ্রহণ করতে। এলাকার গরিব চাষিদের চমকানি-ধমকানি সঙ্গে পুলিশের ভয় দেখিয়ে জোর করে জমি কেরে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা।

গ্রামবাসী বিশ্বজিৎ হাজরা, সঞ্জীব হাজরাদের অভিযোগ, এলাকায় সরকারি গোডাউন হবে বলে মন্ত্রীর ভাইপো গুরুপ্রসাদ মল্লিক ও অন্যান্যরা জমি চায়। জমির বিনিময়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাইলে তারা রীতিমতো ধমক দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশ প্রশাসন দিয়ে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানোর ভয় পর্যন্ত দেখানো হয়। যেহেতু সকলেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আত্মীয়, তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কারোও ছিল না। একপ্রকার জোর করেই প্রায় ৫০টি পরিবারের চাষযোগ্য জমি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। খাদ্য দফতরের বিশাল গোডাউন তৈরির জন্য। বেশ কয়েকবছর কেটে গেলেও পুড়শুড়ার ৫০টি পরিবার এখন পর্যন্ত পাননি অধিগ্রহিত জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা।

জমিহারা এক যুবক জানালেন, আমাদের ৪ কাঠা জমি ছিল। জমির বিনিময়ে একটা ছাগলের গোয়াল করে দিয়েছে। জবরদখলের প্রতিবাদ করলে পুলিশকে দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখাত। তাই ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।