Visva Bharati University: ‘ঘুমোচ্ছিলাম, আচমকাই ফোন! অফিসে ঢুকবেন না,’ আতঙ্কে বিশ্বভারতীর আধিকারিক

মাঝরাতে ফোন বিশ্বভারতীর আধিকারিককে। এরপরই এনিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য। ফেসবুকে ওই অধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্য়ায় গোটা ঘটনাটি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, গতকাল আমার ছুটি ছিল। সকাল সাড়ে ৬টায়  আমি কলকাতা রওনা হয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রেনে শান্তিনিকেতনে ফিরে রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন আমার কাছে দুই গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুই অধ্য়াপকের ফোন আসে। তাঁরা আমাকে এক উচ্চপদস্থ কর্তার বার্তা পৌঁছে দিয়ে অনুরোধ করেন আমি যেন আজ আমার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ না করি। সম্পূর্ণ দূরে  অন্য এক বিভাগে গিয়ে আজকের দিনটা বসি। আমি এই রহস্যময়, অনৈতিক, কুরুচিকর, অপেশাদার ও সন্দেহজনক প্রস্তাবের কোনও যুক্তি বা কারণ খুঁজে না পেয়ে তাঁদের জানাই এই মর্মে আমায় যথাযথ মাধ্যমে লিখিত নির্দেশ না দিলে আমি আমার নিজের কাজের জায়গায় শত বাধা অথবা বিপদ থাকলেও ঢুকব। 

তিনি লিখেছেন, সকাল সাড়ে ৬টায় আমার কর্মক্ষেত্রে রোজকার মতো ঢুকব। ওখানে আমি ওই উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিবর্গের হাতে আমার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। সমস্ত বোলপুর- শান্তিনিকেতনবাসী, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছাত্র কর্মীবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনকে আমার নিরাপত্তা দেওয়ার ও ওই এলাকার উপর নজর রাখার অনুরোধ করেছি। ৩ নভেম্বর এই পোস্ট করেছেন নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

কিন্তু কেন তাঁকে রাতে এই ধরনের ফোন করা হল, কারা তাঁকে ফোন করলেন, কাদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল তাঁর, এটা প্রকাশ্যে আসেনি। ধোঁয়াশাটা থেকেই গিয়েছে। তবে ফের এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে বিশ্বভারতীতে। 

ফলক বিতর্ককে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই অস্বস্তি বেড়েছে বিশ্বভারতীর অন্দরে। তার রেশ ফুরোয়নি এখনও। তার মধ্য়েই এই পরিস্থিতি। এদিকে নীলাঞ্জনের এই পোস্টের পর থেকেই তাঁর বন্ধুরা, প্রিয়জনরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকেই তাঁকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি যে অধ্য়াপকরা এই বার্তা দিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন কয়েকজন।