বিজয়া সম্মিলনীর বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে হামলা, আটক ৩

রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে বেশ কয়েকজন তাঁর ফ্ল্যাটে গিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় তৃণমূল সাংসদ কালচিনি ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। এই অবস্থায় তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এক্ষেত্রে বিরোধীদের চক্রান্ত থাকতে পারে বলে অভিযোগ তৃণমূল সাংসদের।

আরও পড়ুন: ইট ছুড়ে দুষ্কৃতী হামলা তৃণমূল নেতার বাড়িতে, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

অভিযোগ, বুধবার রাত ১১ টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা বোলেরো গাড়ি এবং বাইকে করে সেখানে পৌঁছয়। এরপর প্রথমে তারা নিচে হৈ -হুল্লোড় করে এরপর সংসদের ফ্ল্যাটের ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ঘরে ঢুকে হামলা চালানোর পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। সাংসদের নিরাপত্তারক্ষী এবং কেয়ারটেকারকে মারধর করে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা ৬ জন ছিল। তারমধ্যে ৩ জন মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আবাসনের চার তলায় প্রকাশের ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে গিয়ে দরজায় ধাক্কা মারতে থাকে। তখন সাংসদের দেহরক্ষী স্বপন বর্মন দরজা খুলতেই তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর সাংসদ সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা বৈঠক ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসলে দুষ্কৃতীদের ৩ জনকে ধরে ফেলে। বাকি ৩ জন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশে খবর দেন সাংসদ। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে ৩ অভিযুক্তকে আটক করে। সাংসদের দাবি, অভিযুক্তরা অন্য এলাকার বাসিন্দা। তারা কেন সেখানে গিয়েছিল? সে বিষয়ে তাঁর জানা নেই। তবে এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির হাত থাকতে পারে বলে তাঁর অভিযোগ।

অ্যাপার্টমেন্টের সেক্রেটারি জানান, ওই যুবকরা সেখানে গিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি কেয়ারটেকারকে ধাক্কা দিয়ে লিফটে করে নিয়ে চলে যায়। সাংসদ জানান, ‘আমরা বিজয়া সম্মেলনী নিয়ে মিটিং করছিলাম। সেই সময় ৩ যুবক সেখানে আসে। আমার নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধর করে। আমরা ৮-১০ জন মিলে বৈঠক করছিলাম। তাঁদের ধরে ফেলি। সাংসদের দাবি, বিজেপি পুরসভা, পঞ্চায়েতে ভালো ফল করতে পারেনি। তাছাড়া তাঁর নামে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। সেই কারণে হয়তো বিজেপি এরকম করছে। অভিযুক্ত যুবকদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।