শান্তিনিকেতন থানায় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের, কী করবেন উপাচার্য?‌

এবার শেষলগ্নে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হল। এটাই বোধহয় বাকি ছিল। তাঁকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিতে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতন থানায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আশ্রম এলাকার একাধিক গেট তালা বন্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তার জেরে আশ্রমিক থেকে অধ্যাপকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তি দখল করতে চাইছেন উপাচার্য বলে অভিযোগ তুলেছে ট্রাস্ট। তবে একদিন আগেই গাড়ি চালিয়ে বিশ্বভারতী ত্যাগ করেছেন উপাচার্য।

এদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না রেখে নিজের নাম দিয়ে ফলক বসানোর অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। এবার তার মধ্যেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়ে গেল। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের অত্যন্ত লজ্জার বলে মনে করছেন প্রাক্তনী থেকে পড়ুয়ারা। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার অভিযোগ করেছেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে। উপাসনা গৃহ, শান্তিনিকেতন গৃহ এবং মূল শান্তিনিকেতন আশ্রম রয়েছে সেখানে। এই স্বীকৃতি শান্তিনিকেতনের মানুষজনের কাছে গর্বের বিষয়। সেখানে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন করেছেন উপাচার্য।

অন্যদিকে এই অভিযোগ লেখা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এই হেরিটেজ স্থানে নিজের নামের ফলক লাগিয়েছেন। আর এভাবে বেআইনি জবরদখলকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বেআইনিভাবে ট্রাস্টের সম্পত্তির চরিত্র বদল ও সত্ত্ব পরিবর্তন করে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। এমনকী কৌশলে ট্রাস্টের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চাইছেন।’ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর যে শ্বেতপাথরের ফলক বসানো হয়েছে, সেটি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গা। অনুমতি না নিয়েই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেটা বসিয়েছে। আর সেখানে ব্রাত্য রাখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বলে ট্রাস্টের দাবি।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌মমতাকে হারাব, ডায়মন্ডহারবারে ভাইপোকে হারাব’, তমলুক থেকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

ঠিক কী অভিযোগ ট্রাস্টের?‌ আগামী ৮ নভেম্বর বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। আর তার আগে বিশ্বভারতী ত্যাগ করেছেন উপাচার্য। নিজে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন লম্বা ছুটিতে। এই আবহে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‌শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জমিতে ফলক বসানোর ক্ষেত্রে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই আমরা বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক প্রধান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’‌ এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।