Attack on Pakistani Airbase: জিহাদিদের হামলা পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে, ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক যুদ্ধবিমান

জিহাদের আঁচে পুড়ছে পাকিস্তান। গতকালই বালোচিস্তানে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জন পাকিস্তানে সেনা জওয়ানের। আর আজ ভোররাতে পাকিস্তানের মিঞাঁওয়ালি এয়ারবেসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-জিহাদ এই হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় পাকিস্তানি বায়ুসেনার বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এই হামলায় যুক্ত জঙ্গিদের খতম করা হয়েছে। এই হামলাকে ‘ব্যর্থ’ বলে আখ্যা দিয়েছে পাকিস্তান। (আরও পড়ুন: বর্ধমানে এক গাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ ৩৫ লাখ টাকা, মিলল চালকল যোগের সূত্র!)

রিপোর্ট অনুযায়ী, এয়ারবেসের পাঁচিলে মই লাগিয়ে সেই চত্বরে ঢোকে জঙ্গিরা। এই জঙ্গিদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে। এয়ারবেসের হ্যাঙার এবং রানওয়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক যুদ্ধবিমানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলা পাক সামরিক বাহিনীর কোনও জওয়ান বা আধিকারিক হতাহত হননি। তবে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাক সেনা আজ সকালে এক বিবৃতি জারি করে জানায়, তিন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। আরও তিন জঙ্গিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের হামলায় ১৪ পাকিস্তানি সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছরে বালোচিস্তানে পাক সেনার ওপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানাচ্ছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। জানা গিয়েছে, গোয়াদার জেলায় মৎস্যজীবীদের একটি গ্রামের কাছে এই হামলা চালানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, করাচি থেকে ইরান সীমান্ত পর্যন্ত যে হাইওয়ে চলে যায়, সেটা দিয়েই যাচ্ছিল পাক সেনার দু’টি গাড়ি। গাড়ি দু’টি যখন পসনি নামক একটি গ্রামের কাছে এসে পৌঁছায়, তখন সেটির ওপর হামলা চালানো হয়। আর তাতেই ১৪ জন পাক সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেই তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানি সরকারের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি খতম হয়। এরপর থেকেই বালোচিস্তানে জঙ্গি হামলা বেড়েছে। এই সুযোগে বালোচ সশস্ত্র সংগঠনগুলিও পাক সেনা ও পুলিশের ওপর বারংবার হামলা চালিয়েছে। তবে গতকালকের ঘটনার নেপথ্যে কে আছে, তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে ঘটনার পরই আশেপাশের গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পাক সেনা। এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে সেনার তরফে বলা হয়েছে, দোষীদের খুঁজে বের করা হবে এবং উচিত শাস্তি দেওয়া হবে। এদিকে বালোচিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী আলি মারদান ডোমকিওএই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে এই হামলার নেপথ্যে থাকা সন্ত্রাসীদের বিচার হবে।