ইডেনে বিশ্বকাপের ম্যাচে রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচের টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে তোলপাড় শহর। এই আবহে তৎপরতা বেড়েছে পুলিশেরও। ইডেনের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৫০ পুলিশ। এদিকে টিকিট কালাবাজারি কাণ্ডে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেছে পুলিশ। এরই মাঝে শহরে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে ১ নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হেমল শাহ নামক একজন ব্যক্তি। তিনি এন্টালির বাসিন্দা। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি সিএবি সদস্য।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল মৌলালিতে অভিযান চালিয়েছিল এন্টালি থানার পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল হেমল শাহকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইসমাইল হুডা নামক আরও একজন। ধৃতদের থেকে রবিবারের ইডেন ম্যাচের ১০টি টিকিটি পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ কালোবাজারি দমন আইন, ১৯৪৮ ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ঠ ধারায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ময়দান থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা, নেতাজি নগর থানা, সাইবার থানাও টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে আরও ১৪ জনকে। এখনও পর্যন্ত ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৯৪টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কালোবাজারির অভিযোগ তুলে ময়দান এবং এন্টালি থানায় মোট ৭টি এফআইআর হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের টিকিট নিয়ে কার্যত হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মিলছে না টিকিট। টিকিট মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে ১০ গুণ চড়া দামে। এই আবহে কালোবাজারি রুখতে শুক্রবার থেকেই ইডেন গার্ডেনের চারপাশে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ কর্মী মোতায়ন করে লালবাজার। এদিকে সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কেও হাজিরা দিতে বলেছে ময়দান থানার পুলিশ। যদিও সেকথা অস্বীকার করেছে সিএবি। এর আগে অনলাইন টিকিট বিক্রি অ্যাপের আধিকারিককে ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ।
এদিকে কালোবাজারি ইস্যুতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘টিকিটের কালোবাজারি অভিযোগ নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমরা সিএবি এবং অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কিন্তু, আরও তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে।’ এর আগে বৃহস্পতিবারই এ প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, টিকিটের কালোবাজারি আটকানো সিএবির পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।