ISRO Chief after Chandrayaan 3: শিভানকে নিয়ে ‘আক্রমণ’, বিতর্কের মধ্যে বই প্রকাশ করলেন না চন্দ্রযানের নায়ক সোমনাথ

আত্মজীবনী প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। অর্থাৎ আপাতত আত্মজীবনী প্রকাশ করছেন না তিনি। যে আত্মজীবনী নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কারণ অভিযোগ উঠেছিল যে আত্মজীবনীতে পূর্বসূরি কে শিভানের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ইসরোর বর্তমান চেয়ারম্যান। যাঁর নেতৃত্বে চন্দ্রজয় করেছে ভারত। সফল হয়েছে চন্দ্রযান-৩ মিশন। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ভারত। আর শিভানের আমলে ভারত চন্দ্রযান-২ মিশন পাঠিয়েছিল। মাত্র কয়েক কিলোমিটার আগে সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল।

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরোর প্রধান সোমনাথ নিশ্চিত করেছেন যে বিতর্কের মধ্যে আত্মজীবনী ‘নীলাভু কুদিচা সিংহাঙ্গল’ (যেটার অর্থ হল যে ‘চাঁদের আলো পান করা সিংহরা’) প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যিনি শনিবারই জানিয়েছিলেন যে কোনও সংস্থার শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষকে কোনও না কোনও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। 

একটি রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শনিবার সেই মন্তব্য করেন ইসরোর প্রধান সোমনাথ। যে রিপোর্টে দাবি করা হয়, আত্মজীবনীতে নাকি পূর্বসূরি শিভানকে আক্রমণ শানিয়েছেন ইসরোর বর্তমান প্রধান। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। বরং তিনি দাবি করেন যে আত্মজীবনীতে নির্দিষ্ট কাউকে আক্রমণ শানাননি। সার্বিকভাবে প্রত্যেকের জীবনের কথা বলতে চেয়েছেন।

আরও পড়ুন: Lander Rover wake-up latest update: মাইনাস ২০০ ডিগ্রিতেও কাজ করেছে ল্যান্ডার রোভার! এখনও জেগে উঠতে পারে, আশা ISRO-র

পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরোর প্রধান সোমনাথ বলেছেন, ‘যে মানুষরা এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকেন, তাঁদের একাধিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিতে যেতে হয়। সেরকমই একটি চ্যালেঞ্জ হল যে ওই সংস্থার শীর্ষস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য একাধিক যোগ্য ব্যক্তি থাকতে পারেন। আমি শুধু সেই বিষয়টা সামনে আনার চেষ্টা করেছি। এই বিষয়টি নিয়ে আমি নির্দিষ্টভাবে কাউকে নিশানা করিনি।’

আরও পড়ুন: Chadrayaan 3 success story: গেমচেঞ্জার! ল্যান্ডার ও রোভারকে নিয়ে অপেক্ষার মধ্যেই আরও এক সাফল্য চন্দ্রযান ৩-র

তবে ইসরোর প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁর বইয়ে চন্দ্রযান-২ মিশনের বিষয়ে একটি প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেন একেবারে শেষমুহূর্তে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-২ মিশনের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান নামতে পারেনি, তা নিয়ে পর্যাপ্ত কারণ ব্যাখ্যা করা হয় না বলে দাবি করা হয়েছে।