Kalyan Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নাম নেওয়ায় বালুর ওপর রেগে কাঁই কল্যাণ, বললেন অন্যায় করেছে

রেশন দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কি কৌশলে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল? শুক্রবার এমনই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের একের পর এক সাংসদের প্রতিক্রিয়ায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয়র পাশে থাকলেও তাঁদের দাবি জ্যোতিপ্রিয়র কৃত কর্মের দায় নেবে না তৃণমূল। একই কথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়ায় শুক্রবার জ্যোতিপ্রিয়কে আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূলের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতিপ্রিয়কে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, কারও পদস্খলনের দায় কেন নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন সংবাদমাধ্যমকে কল্যাণবাবু বলেন, ‘শুনলাম ও না কি বলেছে মমতা আর অভিষেক সব জানেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী জানবেন? তাঁর নাম কেন নেওয়া হল? দুর্নীতি রুখতে জ্যোতিপ্রিয় কি কোনও পদক্ষেপ কেন নেননি? দুর্নীতি হচ্ছে বলে কি কোনও চিঠি লিখেছিলেন তিনি? কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কেন? কারও পদস্খলন হয়ে থাকলে তার দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না কি? আর অভিষেকের নাম এর মধ্যে আসে কোথা থেকে? ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে থাকলে অন্যায় করেছে।’

শুক্রবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমি মুক্তি পেয়ে গেছি। চার দিন পরে প্রমাণ করে দেব। বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার এক দলীয় বিজয়া সম্মিলনীতে জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে সুর চড়ান বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, ‘ওটা ওনার পার্সোনাল ক্যাপাসিটিতে উনি করেছেন। ব্যক্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী করেছেন সেজন্য দলের ভাবমূর্তি কেন নষ্ট হবে? উনি সভাপতি ছিলেন না কিন্তু। বারাসত সংসদীয় এলাকায় আমি সভাপতি। প্রতি বছর বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনী করা হয়। এখনো কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা হলে বুঝব কী ধরণের সমস্যা হচ্ছে’।