আবার শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বন্ধ হয়ে গেল ট্রেন চলাচল, রবিবার সন্ধ্যায় নাকাল যাত্রীরা

রবিবার ছুটির দিন। তার উপর আজ ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের ম্যাচ চলছে। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দেখতে কলকাতায় ভিড় উপচে পড়েছে। এই আবহে আবার ট্রেন যন্ত্রণার শিকার হলেন যাত্রীরা। কারণ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তার জেরে যাত্রীরা বেশ বিপদে পড়ে যান। বাড়ি ফেরার পথে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। ওভারহেড তার ছিঁড়ে যাওয়ার জেরে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ রয়েছে আপ ও ডাউন একাধিক লোকাল ট্রেন। কাকদ্বীপ, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ডহারবার–সহ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা নাকাল হচ্ছেন।

বারবার কেন এমন ঘটছে?‌ এই নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন যাত্রীরা। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব নয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ছুটির দিন হওয়ায় অফিস টাইমের মতো ভিড় হয়নি ঠিকই। কিন্তু তাও নানা কাজে মানুষ বেরিয়েছেন। আবার কেউ বিশ্বকাপের প্রথমার্ধে ইন্ডিয়ার ব্যাটিং দেখে ফিরছিলেন। বাকিটা বাড়িতে গিয়ে টিভিতে দেখার পরিকল্পনা ছিল। সেখানে এমন নাকাল হতে হবে যাত্রীদের তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি। রেল সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল ৩টে নাগাদ শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার বারুইপুর এবং সোনারপুর স্টেশনের মাঝে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ শেষ খবর অনুয়ায়ী, স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন পরিষেবা। এই কারণে অনেকে মাঝপথে নেমে গিয়েছেন। বিকল্প সড়কপথে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দ্রুত মেরামত হয়ে ট্রেন চালু হবে বলে রেল সূত্রে খবর। এমন ঘটনা বারবার নানা জায়গায় হতে থাকায় যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আপ ও ডাউন লাইনের একাধিক স্টেশনগুলিতে ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়ে অনেকে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রেলের অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ট্রেন লাইনে ওভারহেড তার মেরামতির কাজ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে। আটকে আছেন যাত্রীরা।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌দুই কংগ্রেস নেতা লড়াই করছে, কার ছেলের হাতে পার্টির দখল থাকবে’‌, তোপ মোদীর

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে একাধিক নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, ছুটির দিনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষজনকে বিপদে পড়তে হয়েছে। অথচ কোনও হেলদোল নেই রেল কর্তৃপক্ষের। বারবার এমন ঘটনা কেন ঘটে?‌ মানুষ আজ চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় সঠিক সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন না কেউ। কখন রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। কেউ কিছু বলতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে এখন ঈশ্বরই ভরসা।