দশ কোটি টাকার সোনা পাচার রুখে দিল বিএসএফ, ফুলচাষি গ্রেফতার হতেই পর্দাফাঁস

সোনা পাচারকারীদের ধরে ফেললেন বিএসএফ জওয়ানরা। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ১৬ কেজি ৭০ গ্রাম বিদেশি সোনা উদ্ধার করেন জওয়ানরা। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারের ছক কষা হয়েছিল। যা বিএসএফের তৎপরতায় বানচাল হয়ে গেল। এই বিপুল পরিমাণ কেজি সোনা–সহ একজন পাচারকারীকে গ্রেফতার করল কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা। এই পাচারকারী আসলে একজন ফুল চাষি। তার কাছ থেকে ১০ কোটির সোনা উদ্ধার করল বিএসএফ। ওই ফুল চাষির নাম আজহার মণ্ডল। ২৭ বছরের আজহারের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার রাজকোল গ্রামে।

এদিকে রানাঘাটে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত ৬৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পান, বিপুল অঙ্কের সোনা পাচার হতে চলেছে। তখনই বাড়ানো হয় নজরদারি। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ এক সন্দেহজনক মোটরবাইক আরোহীকে দেখতে পান জওয়ানরা। আর জওয়ানরা তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। অসংলগ্ন উত্তর দিতেই তল্লাশি করা হলে ওই যুবকের কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্টে। তখনই বেরিয়ে আসে ১৭টি সোনার বার। তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। বিএসএফ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম আজহার মণ্ডল। তাঁর বাড়ি সীমান্তবর্তী রাজকোল গ্রামে।

অন্যদিকে এই সোনার বারগুলির আনুমানিক ওজন ১৬.৭ কেজি। যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই কাজের সঙ্গে কয়েকমাস ধরে জড়িত সে। গ্রামে সে ফুল চাষ করে। ৬ মাস ধরে চোরাকারবারিদের সঙ্গে মিলে সীমান্তে সোনা পাচারের কাজ করছিল। বাংলাদেশের মাটিলা গ্রামের বাসিন্দা আলম মণ্ডলের কাছ থেকে সোনার বারগুলি পেয়েছে সে। আর সেগুলি বনগাঁর এক ব্যক্তিকে দিতে যাচ্ছিল সে। জেরার মুখে ধৃত যুবক জানিয়েছে, সে খুব দরিদ্র। ফুল চাষ করে পেট চালাত। কিন্তু সংসারের অনটন মেটাতে এই কাজে জড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন:‌ বাকিবুর–জ্যোতিপ্রিয়র বৈঠকের তথ্য খুঁজছে ইডি, সোমবার আদালতে প্রমাণ দিতে প্রস্তুতি

এছাড়া সোনার বার বনগাঁর এক পাচারকারীকে হস্তান্তর করতেই এই পথ দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পথে তল্লাশির করে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা সোনা–সহ তাকে গ্রেফতার করেছে। সেপ্টেম্বর মাসেও রানঘাট সীমান্তে বিএসএফ ২৩ কেজি সোনা উদ্ধার করেছিল। তখনও এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই বছরে দক্ষিণ সীমান্তের জওয়ানরা এখনও পর্যন্ত ১৫০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছেন বলে খবর। এই বিষয়ে সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি এ কে আর্য জানান, চোরাকারবারিরা গরিব এবং নিরীহ মানুষকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এই কাজ করাচ্ছে। হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এবং ৯৯০৩৪৭২২২৭ চালু করা হয়েছে। এখানে মানুষজন খবর দিতে পারবেন।