দুঃসাহসিক ডাকাতি পূর্ব মেদিনীপুরের সোনার দোকানে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেঁধে লুঠপাট

মাঝরাতে প্রায় ৩টে নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার দিবাকরপুরে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। দোকানের শাটার কেটে রীতিমতো সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেঁধে রেখে ডাকাতি করা হয় বলে অভিযোগ। নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং সোনার গয়না লুঠ করে ডাকাতের দল। ডাকাতির সময় দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রাখে ডাকাতরা। তারপর দোকানের শাটার কেটে ভিতরে ঢোকে ডাকাতের দল। তাদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। চণ্ডীপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা এখন আতঙ্কিত।

এদিকে এখনি দোকানের মালিক জানাতে চাইছেন না ঠিক কত পরিমান সোনা লুঠ করেছে ডাকাত দল। স্থানীয় সূত্রে খবর, শাটার ভেঙে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেঁধে লুঠ চলে। এমনকী দোকানের সামনের লাইট পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চণ্ডীপুর থানার দিবাকরপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। দোকানের শাটার কেটে দোকানে ঢোকে ডাকাতরা। ভেঙে দেওয়া হয় দোকানের আলোও। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে লুঠপাট চালায় ডাকাতের দল।

অন্যদিকে সোনারপুর, ব্যারাকপুর–সহ নানা জায়গায় আগে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। তাতে প্রাণও দিতে হয়েছিল। কারণ এই ডাকাতদের কাছে থাকছে আগ্নেয়াস্ত্র। এদিনও তেমনটাই ঘটেছে। ভয়ে এখন কথা হারিয়ে ফেলেছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলা হয়নি। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করছে, আগে রেইকি করে তবেই ডাকাতি করা হয়েছে। তবে লুঠপাটের পর সিভিক ভলান্টিয়াদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশকে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের তখন বাঁধনমুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন:‌ দশ কোটি টাকার সোনা পাচার রুখে দিল বিএসএফ, ফুলচাষি গ্রেফতার হতেই পর্দাফাঁস

এছাড়া পুলিশ এসে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বয়ান সংগ্রহ করেন। ঠিক কী ঘটেছিল রাতে?‌ জানতে চান তাঁরা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কথা শুনে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই সোনার দোকানকে টার্গেট করা হয়েছিল। রেইকি করেই এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুরো প্রস্তুতি নিয়েই এই ডাকাতি করা হয়। সোনা–সহ নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকানের মালিক। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট উদ্ধার করেছে বলে খবর। সোনার দোকানের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ডাকাতদের শনাক্ত করার কাজ চলছে।