‘‌দুই কংগ্রেস নেতা লড়াই করছে, কার ছেলের হাতে পার্টির দখল থাকবে’‌, তোপ মোদীর

আজ, রবিবার নির্বাচনী প্রচার থেকে একদিকে কংগ্রেস আক্রমণ অপরদিকে কংগ্রেসের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগানোর কৌশল নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দাবি করলেন, গত পাঁচ দশক ধরে আদিবাসীদের কল্যাণে কোনও কাজ করেনি কংগ্রেস। আজ নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী জনসভা থেকে সরাসরি দুই কংগ্রেস শীর্ষ নেতাকে আক্রমণ শানালেন। একজন হলেন—দিগ্বিজয় সিং। অপরজন কমল নাথ। এই দুই নেতা পার্টির উপর ক্ষমতা কায়েম রাখতে চাইছেন নিজেদের ছেলের জন্য বলে মন্তব্য করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আসলে কৌশলে দুই নেতার মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিতেই এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে একদিন আগেই নির্বাচনী প্রচার থেকে জনগণের ভোট পেতে প্রধানমন্ত্রী আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশনের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটের জন্য উপহার দেওয়া তাঁর না পসন্দ। বিশ্বাসী নন এই রেওড়ি সংস্কৃতিতে। কিন্তু বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ধাক্কা এবং বিরোধী মহাজোট ইন্ডিয়ার ভয়ে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই অপছন্দের রাস্তাতেই হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী সভা থেকে তাঁর ঘোষণা—বিনামূল্যে রেশন মিলবে আরও পাঁচ বছর। এই নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের নালিশ ঠুকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার মধ্যপ্রদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‌দুজন বড় কংগ্রেসের নেতা মারামারি করছেন কার ছেলের হাতে পার্টির ক্ষমতা থাকবে মধ্যপ্রদেশে।’‌

অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের সেওনি থেকে আজ প্রধানমন্ত্রী একের পর এক তোপ দাগেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এখানে দুর্নীতি ইস্যুকে তিনি সামনে নিয়ে আসেন। তাঁর কথায়, ‘‌২০১৪ সালের আগে কংগ্রেস এখানে লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। এখন এখানে বিজেপি সরকার। আর কোনও দুর্নীতি নেই। আমরা যে টাকা গরিবদের অধিকারের জন্য বাঁচিয়েছি সেটা এখন রেশনের মাধ্যমে দিচ্ছি। এটাই সব থেকে বড় পার্থক্য দুর্নীতিবাজ কংগ্রেস সরকার এবং বিজেপি সরকারের মধ্যে। আমি গরিব থেকেই আজ উঠে এসেছি। তাই এই বিষয়গুলি বইতে পড়ার আমার প্রয়োজন পড়ে না।’‌

আরও পড়ুন:‌ এবার ক্রিকেট টিম গড়ে তুলতে চান রাজ্যপাল, নাম রাখলেন ‘গভর্নরস সেঞ্চুরি গ্রুপ’

প্রধানমন্ত্রী আবার আজ মধ্যপ্রদেশে গরিব কল্যাণ যোজনার কথা তুলে ধরেন। আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে মানুষ রেশন পাবেন বলে এখানেও প্রতিশ্রুতি দেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‌আমি গরিব মানুষের ব্যথা বুঝি। তাই তো আমি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেখানে ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা শেষ হবে তখন আবার পাঁচ বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন চালু হয়ে যাবে।’‌ প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যদ্বানী করে দেন যে, বিজেপি আবার এখানে ক্ষমতা আসবে সেটার শক্তিশালী সম্ভাবনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল এখন পরিষ্কার। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হবে ১৭ নভেম্বর এবং গণনা হবে ৩ ডিসেম্বর।