‘বেহুদা, বেশরম!’ আদানিকে টেনে ফের বিজেপি এবং এথিক্স কমিটিকে নিশানা মহুয়ার

বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার পরিকল্পনা করছে। এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই দাবি করে এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার আগে ইডি-সিবিআই ‘কয়লা কেলেঙ্কারি’র জন্য আদানির বিরুদ্ধে আগে তদন্ত শুরু করুক। একই সঙ্গে তিনি লোকসভার এথিক্স কমিটির প্রধান বিনোদ সোনকারকেও নিশানা করেছেন তৃণমূল সাংসদ।

এফআইআর দায়ের প্রসঙ্গে এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিজেপি আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার পরিকল্পনা করেছে জেনে শিহরিত হচ্ছি। আমি তাদের স্বাগত জানাই। তবে আমি মনে করি, আমার কত জোড়া জুতো আছে তা নিয়ে তদন্ত করার আগে ইডি এবং সিবিআই-এর উচিত ১৩,০০০০ কোটির কয়লা দূর্নীতি নিয়ে আদানির বিরুদ্ধে তদন্ত করা।’

একই সঙ্গে নাম না করে সোনকারের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনি ভুয়ো বর্ণনা দিয়ে মহিলা সাংসদের এগিয়ে দেওয়ার আগে মনে রাখবেন, এথিক্স কমিটিতে যা হয়েছিল তার রেকর্ডের সঠিক ট্রান্সক্রিপ্ট (প্রতিলিপি) আমার কাছে আছে। চেয়ারম্যানের নোংরা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, বিরোধীদের প্রতিবাদ, আমার প্রতিবাদ- সব অফিসিয়াল ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট।’  এই দ্বিতীয় পোস্টটির শেষে মহুয়া লিখেছেন ‘বেহুদা, বেশরম’ যার অর্থ অর্থহীন, নির্লজ্জ। 

সংসদে ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ তোলার অভিযোগে মহুয়ার বক্তব্য জানার জন্য তাঁকে তলব করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। কিন্তু বৈঠকে মাঝপথেই মহুয়া বেরিয়ে এসে অভিযোগ করেন তাঁকে ‘নোংরা প্রশ্ন করা হচ্ছে।’ তৃণমূল সাংসদকে যে ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি। তারপর থেকে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধ অব্যাহত।

এর মধ্যে আবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেন, এথিক্স কমিটির বৈঠকে মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করা হয়েছে। স্পিকারের কাছে এক জন মহিলা সাংসদ হিসাবে ‘সুরক্ষা’ও চান তিনি।

মহুয়ার বিরুদ্ধেও পাল্টা শিষ্টাচার ভঙ্গের অভিযোগ আনেন বিজেপির মহিলা সাংসদ তথা এথিক্স কমিটির অন্যতম সদস্য অপরাজিতা ষড়ঙ্গী।

জানা গিয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বর মহুয়া মৈত্র বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে রিপোর্টের খসড়া তৈরি করতে ফের বৈঠকে বসবে লোকসভার এথিক্স কমিটি।