Hindustan Times Leadership Summit 2023: ‘উন্নতির সবথেকে বড় অন্তরায় হল ভাইপোবাদ…’ বিরাট কথা বলে দিলেন মোদী

হিন্দুস্তান লিডারশিপ সামিট ২০২৩। সেখানে বক্তব্য রাখলেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে পরিবারবাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন মোদী।

সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের উন্নতির সামনে একটা সত্যিকারের বাঁধা হল পরিবারবাদ ও ভাই ভাতিজাবাদ। তিনি বলেন, সেই ব্যক্তিই আগে এগিয়ে যেতেন যিনি কোনও নামকরা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অথবা কোনও শক্তিশালী( প্রভাবশালী) ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। দেশের সাধারণ নাগরিকরা কথা বলতে পারতেন না। গুরুত্ব ছিল না।

মোদী বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে , বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, রাজনীতি হোক বা পদ্ম সম্মানের ক্ষেত্রে দেশের সাধারণ নাগরিকরা ভাবতেন তিনি যদি কোনও বড় পরিবারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে না পারেন তবে তাঁদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট কম। কিন্তু আপনি গত কয়েক বছরে দেখেছেন এই সবক্ষেত্রে দেশের সাধারণ নাগরিকদেরও ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। তাঁরা উৎসাহিত বলে অনুভব করছেন। এখন তাঁদের এই চিন্তা হচ্ছে না যে এখন তাঁদের কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিকে তোষামোদ করতে হবে। তাঁদের সহায়তা নিতে হবে। বললেন মোদী।

 

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পরিবারবাদ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন মোদী। কার্যত কড়া আক্রমণ। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন মার্ক্সবাদ, গান্ধীবাদের কথা শোনা যেত। তারপর পরিবারবাদের কথাও শোনা গিয়েছে। তবে এখন আবার ভাইপোবাদের কথা শোনা যাচ্ছে। খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই কথা।

এদিকে অনেকে আবার বাংলার রাজনীতির সঙ্গে মোদীর এই বক্তব্যের যোগসূত্র টানতে চাইছেন। কারণ বাংলাতেও ভাইপোবাদ বিষয়টি বর্তমানে বহুল পরিচিত। মূলত বিরোধী নেতৃত্ব বারই বারই এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রসঙ্গত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বিরোধীরা ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। বাংলার পিসি-ভাইপোর রাজ চলে বলে দাবি করেন তারা। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠে পরিবারবাদের অভিযোগ। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই মোক্ষম জায়গাতেই আঘাত করলেন।

তিনি জানিয়েছেন, ভারতের উন্নতির সামনে একটা সত্যিকারের বাঁধা হল পরিবারবাদ ও ভাই ভাতিজাবাদ। সেই ব্যক্তিই আগে এগিয়ে যেতেন যিনি কোনও নামকরা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অথবা কোনও শক্তিশালী( প্রভাবশালী) ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। দেশের সাধারণ নাগরিকরা কথা বলতে পারতেন না। গুরুত্ব ছিল না।

অর্থাৎ প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য না হলে সাফল্য পাওয়া ছিল দুষ্কর, এটাই তুলে ধরতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বর্তমানে সেই অবস্থার বদল হয়েছে। তবে তিনি কারোর নাম উল্লেখ করেননি।