Dilip Ghosh: না বলে কয়ে বিজয়ার অনুষ্ঠান, ‘জোশ’ দেখিয়েছেন দিলীপের ফ্যানরা, রেগে ফায়ার রাজ্যে নেতারা, হলঘরে পড়ল তালা

হাউ ইজ দ্য জোশ। দিলীপ ঘোষ দিলীপ ঘোষ।

দলের রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন তাঁর দাপট দেখেছে গোটা বাংলা। তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি যেসব ভাষা প্রয়োগ করতেন তা নিয়েও নানা কথা উঠত। তবে রাজ্য সভাপতির চেয়ার খোয়ানোর পর থেকেই দলের অন্দরে আরও কোণঠাসা হতে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। 

এদিকে সূত্রের খবর, সম্প্রতি ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে দলের সদর দফতরে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে দলকে আগাম না জানিয়েই তিনি বিজয়া সম্মিলনী করেন। এমনকী ওই অনুষ্ঠানে আদি বিজেপির কয়েকজন যেসব স্লোগান তোলেন তা শুনে কানে আঙুল দেন দলের একাংশ। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। 

কার্যত দিলীপ ঘোষের মতো অভিজ্ঞ নেতার নেতৃত্বে হওয়া এই বিজয়াকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। এরপরই রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় ওই হলঘর এবার থেকে তালাবন্ধই থাকবে। মানে আগে সবসময়ই খোলা থাকত ওই হলঘর। এবার থেকে আগাম অনুমতি নিলেই তবে হলঘর খোলা হবে। মূলত লোকসভা ভোটের আগে দলের অন্দরে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেকরণেই এই উদ্যোগ। মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। 

গত সোমবার একতলার হলঘরে বিজয় সম্মিলনী করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে একেবারে মুকুট পরে দেখা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। এদিকে সেই কর্মসূচির কথা জানা ছিল না অনেকেরই। এমনকী সেই কর্মসূচিতে স্লোগান ওঠে হাউ ইজ দ্য জোশ। দিলীপ ঘোষ দিলীপ ঘোষ। হমারা মুখ্যমন্ত্রী ক্যায়সা হো। দিলীপ ঘোষ জ্যায়শা হো! তবে এই স্লোগানের পালটা যে কী হতে পারে সেটা মনে হয় আঁচ করতে পারেননি দিলীপ ঘোষও। এদিকে সেদিনের কর্মসূচিতে বিক্ষুব্ধদেরও দেখা যায়। সেখানে দেখা যায় বিজেপি বাঁচাও কমিটির লোকজনদেরও। অতীতে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সুর তুলতেন যারা তাদেরও দেখা গিয়েছিল বিজয়ার অনুষ্ঠানে। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য বিজেপির অন্দরে বর্তমানে একাধিক গোষ্ঠী। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বকে ঘিরেও নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি দিলীপের জোশকে দমাতেই হলঘরে তালা পড়ে গেল? তবে দলের একাংশের মতে, ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। হলঘরে অনেকে এসে এমনি বসে থাকেন। পাখা, লাইট, এসি চলে। সেকারণেই হলঘরটি তালা দেওয়া হয়েছে। পরে প্রয়োজনে তা খোলা হবে।