Dooars: ডুয়ার্সে জঙ্গলের কাছে বাড়ছে ‘অবৈধ’ নির্মাণ, বনমন্ত্রী গ্রেফতার, দেখবেন কে?

সবুজ বাঁচানোর জন্য গোটা বাংলাজুড়েই নানা চেষ্টা। কিন্তু তার মাঝেই ডুয়ার্সে বাড়ছে কংক্রিকের জঙ্গল। এমনকী নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় একাধিক অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় হোমস্টে তৈরির ক্ষেত্রেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু সেই সব বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একাধিক জায়গায় তৈরি হচ্ছে হোমস্টে। অভিযোগ এমনটাই। 

সরকারি হোটেলে জায়গা না পেয়ে ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া এই হোমস্টেতে ফুর্তি করতে যাচ্ছেন অনেকেই। এমনকী লাউড স্পিকার বাজানোও চলছে পুরোদমে। এনিয়ে স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা বার বার অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু কে শুনছে কার কথা! 

এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অতীতে বনমন্ত্রীর চেয়ারে এমন কাউকে বসানো হত যিনি সাধারণত উত্তরের জঙ্গলের ব্যাকরণটা ঠিকঠাক জানেন। বাম আমলে যাঁরাই বনমন্ত্রী হতেন তাঁদের বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গের মানুষ। তবে তৃণমূল জমানায় ছবিটা প্রথমদিকে ঠিকঠাক থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা ক্রমশ বদলাতে থাকে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বসানো হয় বনমন্ত্রীর চেয়ারে। সেক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠছে। 

এদিকে অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থেকেই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় পর্যটন বিকাশের নাম করে হোমস্টে তৈরি হচ্ছে। লাটাগুড়ি, চাপরামারি, গরুমারা সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায়. চিলাপাতার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাতেও চলছে অবৈধ নির্মাণ। সেক্ষেত্রে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

এদিকে অনেকের মতে জঙ্গল বর্তমানে কার্যত অভিভাবকহীন। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন রেশন দুর্নীতি মামলায়। এদিকে পর্যটনের ভরা মরসুম চলছে ডুয়ার্সে। দলে দলে পর্যটকরা সব জঙ্গলমুখী। জোরকদমে চলছে হাতি সাফারি, জঙ্গল সাফারি। জঙ্গল খুলে যাওয়ার পরে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় থাকার ব্যাপারকেও উৎসাহ রয়েছে অনেকের। 

এদিকে মূলত ছোট জঙ্গল এলাকার দিকে বড় নজর জমি মাফিয়াদের। নিয়মের ফাঁক গলে চলে নির্মাণ। তবে তৃণমূলের একাংশের মতে, সবুজ ধ্বংস করে কোথাও কিছু হচ্ছে না। রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে সবসময় নজর রাখে। বন্যপ্রাণ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।